ইন্ট্রোভার্ট মাইন্ডের চিঠি

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

প্রিয় কিআ,

আহাহাহা কিআ! কী দারুণ একটা সংখ্যাই না করলে। রূপকথা আমার খুব ভালো লাগে। তোমাকে অনেক ভালোবাসা। যদিও আমার ভাই আকিবটার জন্য শান্তিতে তোমাকে পড়তে পারি না। উফ্‌! (তাই ওর চিঠিটা ছাপাবে না কিন্তু)।

ইফরাত জাহান

পঞ্চম শ্রেণি, অ্যানজেল প্রি-ক্যাডেট স্কুল

প্রিয় কিআ,

রূপকথা আমারও অনেক ভালো লাগে। ইফরাত তোমাকে যা লিখেছে, ডাহা মিথ্যা কথা। হাহহ! ও আমাকে কিআ পড়তে দেয় না। তুমি শুধু আমার চিঠিটা ছাপিয়ো, কেমন?

আকিব হাসান

চতুর্থ শ্রেণি, অ্যানজেল প্রি-ক্যাডেট স্কুল

কিআ: কী মুশকিল! কার কথা যে বিশ্বাস করব! আমি ভাই কোনো ঝুঁকির মধ্যে নেই। দুটোই ছাপিয়ে দিলাম। তোমরা ঝগড়া না করে মিলেমিশে কিআ পড়ো। ঠিক যেভাবে একসঙ্গে চিঠিটা পাঠিয়েছ। ভালো থেকো তোমরা।

প্রিয় কিআ,

আমি আরিয়ার ইন্ট্রোভার্ট মাইন্ড বলছি। আসলে হয়েছেটা কী, তোমার চিঠিপত্র বিভাগের চিঠিগুলো যে বিভিন্ন পাঠক পাঠায়, ওগুলো পড়ে আরিয়ার মন সব সময় ভালো হয়ে যায়। আরিয়ারও কতবার ইচ্ছা হয়েছিল চিঠি পাঠানোর! অথচ আমার জন্য আর শেষে পাঠাতে পারত না। তাই বেচারার কথা ভেবে আমি নিজেই তোমাকে চিঠি লিখতে বসেছি। আমি চাইব যে তুমি ইন্ট্রোভার্ট থেকে এক্সট্রোভার্ট কীভাবে হওয়া যায়, তা নিয়ে একটা সংখ্যা ছাপো। তাহলে যদি আরিয়া আমার থেকে মুক্তি পায়!

আরিয়া ছুবাইতা রহমান

দশম শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল, ঢাকা

কিআ: তুমি আরিয়াকে ছেড়ে যেতে চাইছ তাহলে? আরিয়া যদি এক্সট্রোভার্ট হয়ে যায়, তখন তো তোমার সঙ্গে ওর আর যোগাযোগই হবে না। তখন কেমন লাগবে তোমার? তুমি বরং আরিয়াকে বোঝাও, ইন্ট্রোভার্ট হওয়া দোষের কিছু নয়। তাই বলে আবার একেবারে নিজের ভেতর গুটিয়ে যাওয়াও সমাধান নয়। দুটোর মধ্যে একটু সমন্বয় করলেই আরিয়া আরও এগিয়ে যাবে। তুমি তো ওর মাইন্ড, ও যা যা করতে চায়, করতে উৎসাহ দাও। আরিয়াকে নিয়ে ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

ফেব্রুয়ারি মাসের সংখ্যায় ছয়–ছয়টি কমিকস দেখে আমি তো খুশিতে আত্মহারা। সবেচেয়ে ভালো লেগেছে অ্যাডভেঞ্চার অব ইলু বিলু। কিন্তু খারাপ লেগেছে নিয়মিত বিভাগ আমরা সবাই রাজা আর অরিগ্যামি ছাপাওনি বলে। এখন যেহেতু সবকছিু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, তাই কিআর পৃষ্ঠাসংখ্যা একটু একটু করে বাড়ানো উচিত। ঠিক না?

আবরার ফাহাদ

এসএসসি পরীক্ষার্থী, এমডিসি মডেল ইনস্টিটিউট, ঢাকা

কিআ: অবশ্যই ঠিক। খুব শিগগির আমরা আগের অবস্থায় ফিরে যাব বলে আশা করছি। একটু অপেক্ষা করো। আর আমরা সবাই রাজা, অরিগ্যামিসহ নিয়মিত বিভাগগুলো ছাপিনি বলেই ৬টি কমিকস আর ১১টি রূপকথা ছাপতে পেরেছি। নইলে কোনোভাবেই সম্ভব হতো না। বিশেষ প্রয়োজনে এমনটা করা যেতেই পারে, কী বলো?

প্রিয় কিআ,

আমি ১০০০ শব্দের মধ্যে একটি গোয়েন্দা গল্প লিখেছি।  তুমি কি ছাপবে? যদি ছাপো, তবে আমি কীভাবে এবং কখন পাঠাব? আর যদি কাগজে লিখে পাঠাতে হয়, তাহলে আমি আমার গল্পের মেইন কপিটা নিজের কাছে রেখে ফটোকপিটা দিলে কি চলবে?

আদীবাহ্ জামান

অষ্টম শ্রেণি, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কিআ: বাহ্‌ আদীবাহ্‌, বাহ্! আস্ত একটা গোয়েন্দা গল্প লিখে ফেলেছ! দারুণ! তুমি যেভাবে চিঠিটা পাঠিয়েছ, ঠিক সেভাবেই গল্পটা টাইপ করে ই–মেইলের বডিতে পেস্ট করে সেন্ড করে দাও। মেইন কপি, ফটোকপি কিছুই পাঠাতে হবে না। ই–মেইল করলেই হবে। আর গল্প আমাদের ভালো লাগলে আমরা অবশ্যই ছাপব। অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

গত মাসে আমি প্রথম চিঠি পাঠিয়েছিলাম। বলেছিলাম কমিক আরও বেশি করে দিতে। তুমি ঠিক তা–ই করেছ। চিঠির উত্তর না দিয়ে সরাসরি অ্যাকশন নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

তাসফিয়া জামান

সপ্তম শ্রেণি, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম

কিআ: আরে, জানোই তো, আমরা ডাইরেক্ট অ্যাকশনে বিশ্বাসী। ফলে চিঠির উত্তর না পেলে কেউ মন খারাপ কোরো না। কাজ হয়ে যাবে। অ্যাকশন অ্যাকশন...ডাইরেক্ট অ্যাকশন!

আরও পড়ুন