কিআ কেন মোটা হয় না?

অলংকরণ: রেহনুমা প্রসূন

প্রিয় কিআ ভাইয়া,

ভালোবাসা নিয়ো। ২০১৬ সাল থেকে এই পর্যন্ত কতবার যে কত কিছু তোমাকে লিখে পাঠিয়েছি, তার কোনো হিসাব নেই। আমরা সবাই তোমাকে একই কথা বলতে বলতে বিরক্ত। তুমি মোটা হও না কেন! এবার জানতে পারলাম, তুমি অনেক খেলেও মোটা হও না! এক কাজ করো, তুমি একজন পুষ্টিবিদকে দেখাও। তাহলে উপকার হতে পারে। আর হ্যাঁ, এবার তুমি একজনের চিঠির উত্তর দাওনি! বেচারি কত মন খারাপ করবে, যখন দেখবে যে তার চিঠি ছাপা হলেও তার উত্তর নেই। তোমার ভুলে যাওয়ার রোগের অবস্থা কিন্তু খুবই খারাপ। এটারও একটা ব্যবস্থা করো জলদি। আর জানো, আমার সব কিআ আমি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দিয়ে দিয়েছি। আমার খুবই ভালো লাগে ভেবে যে তারা কী খুশিটাই না হয় কিআ পড়ে! তুমিও নিশ্চয়ই জেনে খুশি হয়েছ যে আমার কিআ এখন অনেকের কিআ। তুমি এখন আর ‘ডায়েরির পাতা থেকে’ ছাপাও না কেন? আবার ছাপানো শুরু করলে আমি খুবই খুশি হব। আমার এই আবদার সম্ভব হলে পূরণ কোরো।

জানি না এত বড় আর অগোছালো চিঠি তুমি ছাপবে কি না। তবে ছাপলে আমার চেয়ে আমার বাসার সবাই আর বন্ধুরা বেশি খুশি হবে! ভালো থেকো, প্রিয় বন্ধু।

নওশীন হাসান
অষ্টম শ্রেণি, মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা

কিআ: অসাধারণ কাজ করেছ নওশীন। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। তবে এটা ঠিক যে ইদানীং আমি অনেক কিছুই ভুলে যাচ্ছি। মোটা কীভাবে হওয়া যায়, এটা জানতে পুষ্টিবিদের কাছে যাওয়া উচিত। কিন্তু মনেই থাকে না। কী যে করি! এই দেখো, বলতে ভুলেই গিয়েছি যে তোমার চিঠিটা কিন্তু মোটেই অগোছালো নয়, খুবই গুছিয়ে লিখেছ। আরও চিঠি দিয়ো। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

তুমি কি জানো যে ব্যাঙ আমাদের কত উপকার করে? যদি জেনে থাকো তাহলে তো ভালোই। আর যদি না জেনে থাকো, তবে তোমাকে বলেই দিই। ব্যাঙ পোকামাকড় খেয়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, ফাইলেরিয়াসহ অনেক অনেক মশাবাহী রোগের সংক্রমণ কমায়। তাই আমি তোমাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি ব্যাঙ নিয়ে একটি সংখ্যা ছাপাতে।

মোহাম্মদ জারীব আলম
প্রথম শ্রেণি, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, ঢাকা

কিআ: অবশ্যই ব্যাঙ নিয়ে সংখ্যা হবে। তবে এখন নয়। সংখ্যাটা করতে হবে বর্ষাকালে। শীতকালে অনেক ব্যাঙই শীতনিদ্রায় থাকে। এখন সংখ্যা করলে তো ওরা পড়তে পারবে না। বর্ষাকালে ব্যাঙও ফর্মে ফিরবে, আমরাও সংখ্যা করব। তুমিও একটা লেখা দিয়ো কিন্তু।

ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

জানো, পড়তে আমার একটুও ভালো লাগে না। কিন্তু কিআ পড়তে ঠিকই অনেক বেশি ভালো লাগে। কী আর করা, এত দিন আমার পরীক্ষা ছিল, তাই বই পড়তে পড়তে কিআ পড়া হয়নি। কিন্তু আজ পরীক্ষা শেষ করে বাড়িতে এসে কিআ নিয়ে বসে পড়েছি। জানো, তোমার নভেম্বরের সংখ্যাটা আমার অনেক অনেক অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমি ভূতের গল্প পড়তে অনেক বেশি ভালোবাসি। আর তুমি নভেম্বরের সংখ্যায় ভূতের গল্প ছাপিয়েছ। তোমার ছাপানো ভূতের গল্প পড়ে আমি আমার ছোট বোনকে বলি, আমরা ভূত সাজব। তারপর আমার ছোট বোন কীভাবে ভূত সাজা যায়, তার আইডিয়া দেয়। রাতের বেলায় আমি, আমার ছোট বোন আর আমার খালাতো বোন ভূত সেজে তোমার গল্পগুলোর মজা নিয়েছিলাম।

নুসরাত জাহান
এসএসসি পরীক্ষার্থী, দরবেশপুর উচ্চবিদ্যালয়, লক্ষ্মীপুর

কিআ: আরে বাহ! একেবারে যথাযথ ভৌতিক পরিবেশ তৈরি করেছ দেখছি! একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে, কোনো কারণে যদি গল্পের ভূত বাইরে বেরিয়ে আসে, তোমাদের দেখে আবার ভয় পেয়ে ভেতরে ঢুকে যাবে। অনেক ধন্যবাদ তোমাদের তিনজনকেই। ভালো থেকো তোমরা।