কিআ নিয়ে টানাটানি

অলংকরণ: নাইমুর রহমান

প্রিয় কিআ,

আমি জানি, তুমি আমার চিঠি ছাপাবে না। তবু আমি চিঠি লিখব। তুমি যে আসলেই অনন্য, এটা কিন্তু সত্যি। কেননা, আমার এক আপু বেশ কয়েক মাস হলো বাইরে থেকে বাংলাদেশে এসেছে। তোমার এপ্রিল সংখ্যা বাসায় আনার পর তার এতই পছন্দ হয়েছে যে সে আমাকে পড়ার সুযোগও দেয়নি। সেটা তার চাই-ই চাই। অবশেষে আমাদের দুইজনের টানাটানিতে সংখ্যাটা গেল ছিঁড়ে। তারপর তার সে কী কান্না! আর আমার তো মন খারাপ। তারপর আব্বু হকার আঙ্কেলকে ফোন করে পরের দিন দুটো কিআ আনিয়ে রাখে। আমাদের আনন্দ আর দেখে কে! আমার ভাগনে বাংলা কিছুই বোঝে না। তারপরেও তোমার প্রচ্ছদ আর কার্টুন তাকে বেশি আকর্ষণ করে। ধন্যবাদ কিআ, এই প্রথম ভাগনেকে এত খুশি দেখলাম। ওর নাম মাহের।

আদিবা নাওয়ার
অনার্স প্রথম বর্ষ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা

কিআ: মাহেরকে অনেক শুভেচ্ছা। এবার তো চারটি কমিকস আছে। মাহের নিশ্চয়ই আরও খুশি হবে। কী বলো? আচ্ছা, ওরা কোন দেশে থাকে তা তো বললে না। ও নিশ্চয়ই মজার মজার অনেক কাণ্ড করবে। সেগুলো কিন্তু লিখে পাঠাতে পার আমাদের।

প্রিয় কিআ,

আজ তোমার কাছে চিঠি লিখতে বসেছি সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। কখনো ভাবতে পারিনি যে আমি নিজে কোনো গল্প লিখতে পারব। আমার এই গল্প লেখার অনুপ্রেরণা কিন্তু তুমিই জুগিয়েছিলে। একটু খুলেই বলি। এ বছর জানুয়ারি মাসে কিআতে পড়েছিলাম অয়ন-জিমির ৩০ বছরের পথচলা নামের প্রচ্ছদ রচনাটি। সেখান থেকেই আমি বুঝেছিলাম, সাহিত্যে বয়স কোনো ব্যাপারই না। আমাকে এই পথ দেখানোর জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আর ভালোবাসা। ইচ্ছা আছে, আমার গল্পটি শেষ হলে তোমাকে পাঠাব। ও হ্যাঁ, একটা কথা তো তোমাকে বলাই হয়নি। এই মে মাসের ১০ তারিখে আমার জন্মদিন। তাই ঈদ ও জন্মদিন উপলক্ষে আমার কিন্তু একটা গিফট চাই।

প্রিয়ন্তী আহসান
অষ্টম শ্রেণি, কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

কিআ: সব সময় তো কিআ ৫ তারিখে বের হয়। যাও, তোমার জন্মদিন উপলক্ষে এবার ১০ তারিখে কিআ বের করলাম। খুশি? কিআ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে যে তুমি গল্প লিখতে শুরু করেছ, এটা জেনে খুব ভালো লাগল। তোমার গল্পের অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

আমি অনেক আশা করে এই চিঠিটা লিখেছি। আমার ভাইয়া আমার সঙ্গে অনেক হাসি–ঠাট্টা করে। আমার চিঠি নাকি তুমি ছাপাবে না। এটা শুনে আমার অনেক মন খারাপ হয়েছে। তবুও একরাশ আশা নিয়ে বুকভরা ভালোবাসা নিয়ে আমি এই চিঠিটা লিখলাম। আমার চিঠিটা ছেপো প্লিজ। তুমি আরও গুড্ডুবুড়ার গল্প দিয়ো। আর ভালোমন্দ খেয়েদেয়ে ধীরে ধীরে মোটা হও। আজকাল অনেক ব্যায়াম করছ বুঝি তুমি? ভালো থেকো।

বি.দ্র.: তোমার জন্য একটা ছোট্ট উপহার পাঠালাম (বাদাম+কিআ) অবসরের শ্রেষ্ঠ সঙ্গী।

রাওয়ান মাহজাবিন
পঞ্চম শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কিআ: এই চিঠিটা এবার তোমার ভাইকে দেখাবে। আর খিলখিল করে হাসবে। কিছু বলতে হবে না, যা বোঝার তা বুঝে যাবে ও। তোমার উপহারটা খুব পছন্দ হয়েছে। একেবারে বাদাম বাদাম! এগুলো কি কাঁচা বাদাম না ভাজা বাদাম?

প্রিয় কিআ,

তোমাকে পড়তে সব সময়ই খুব ভালো লাগে আমার। গত সংখ্যায় ১০০টি অণুগল্প পড়ে বেশ মজা লেগেছে। অয়ন-জিমির সিরিজটাও ছিল ফাটাফাটি। অয়ন-জিমির উপন্যাসটি পড়তে পড়তে ওদের সঙ্গে আমি নিজেকে কল্পনা করেছি। কল্পনায় দেখেছি, আমি ওদের সঙ্গে ওদেরই বয়সী একজন খাঁটি গোয়েন্দা। চলো এক কাজ করি, আমি আর তুমি মিলে একটা গোয়েন্দা দল খুলি। অয়ন-জিমি বা তিন গোয়েন্দার কিশোর, রবিন ও মুসার চেয়ে কোনো অংশে কম হব না আমরা। রাজি আছ আমার এ প্রস্তাবে?

জানো কিআ, আমার প্রাচীন মিসরের ইতিহাস জানতে অনেক ইচ্ছে করে। এখন কেউ কোনো বিষয়ে জানতে আগ্রহী হলেই যার কাছে যায়, আমিও গেলাম তার কাছে। মানে গুগল মামার কাছে। কিন্তু গুগল মামা এত কঠিন করে বলল, আমি প্রায় কিছুই বুঝিনি। তাই তোমার কাছে আমার অনুরোধ, প্রাচীন মিসরের ইতিহাস সম্পর্কে একটি ফিচার ছাপো, প্লিজ। বিদায়, ভালো থেকো।

মাহজাবিন হাসান
চতুর্থ শ্রেণি, নাসিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস, নরসিংদী

কিআ: চলো, খুলে ফেলি তাহলে গোয়েন্দা দল। গোয়েন্দাপ্রধান মাহজাবিন। আমি তার সহকারী। তুমি শার্লক হোমসের মতো কেস সমাধান করবে, আর আমি সেগুলো লিখে নথিভুক্ত করব। বুদ্ধিটা কেমন? গোয়েন্দাদের তো অনেক কিছু খুঁজে বের করতে হয়। তুমি দুটো জিনিস খোঁজো—সমাধান করার মতো কেস আর আমাদের দলের একটা নাম। আমি ততক্ষণে তোমার মিসর রহস্য সমাধানের চেষ্টা করছি। ভালো থেকো।