কিআ’র জন্য ভালোবাসা

অলংকরণ: নাইমুর রহমান

প্রিয় কিআ,

কেমন আছ তুমি? এই লকডাউনে আমার মন ভালো নেই। বাসায় থেকে থেকে এত একঘেয়ে লাগে! কিন্তু যেদিন তোমায় হাতে পেলাম, সেদিন থেকেই মনটা ভালো হয়ে গেল। তুমি যে এত সুন্দর সুন্দর গল্প, ফিচার, কবিতা ছাপো, সেগুলো পড়লেই মন ভালো হয়ে যায়। আর আমাদের লেখা ‘আমরা সবাই রাজা’ বিভাগটা পড়লে তো আর কোনো দুঃখই থাকে না। এভাবেই সারা জীবন আমাদের পাশে থেকো কিআ। তোমাকে অনেক ভালোবাসি!

আয়শা মনি
বদরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, রংপুর

কিআ: ধন্যবাদ আয়শা। তুমিও ভালো থেকো। ভালো না লাগলে বেশি বেশি চিঠি লিখতে পারো। শুধু কিআর কাছে না, তোমার বন্ধুরা, যাদের সঙ্গে অনেক দিন দেখা হচ্ছে না, তাদেরও চিঠি দিতে পারো। ভালো লাগবে আশা করি।

প্রিয় কিআ,

আমার তোমার কাছে একটা অনুরোধ আছে। আর তা হলো, তুমি কিআতে আজকাল গল্পের সংখ্যা কমিয়ে ফেলছ। এই তো এপ্রিল মাসের কিআতে তুমি মাত্র দুটি গল্প ছাপিয়েছ। তুমি কমিকস আজকাল বেশি ছাপাও। কমিকস পড়তে আমার খুব ভালো লাগে, বিশেষ করে এপ্রিল মাসের ‘বিল্টুর ডায়েরি’ কমিকসটি ভীষণ ভালো লেগেছে। কিন্তু তাই বলে তুমি গল্পের সংখ্যা কমিয়ে ফেলো না। আমার অনেক গল্পের বই পড়া শেষ। ভূতের গল্প আর গুড্ডুবুড়ার গল্প আমার প্রিয়। তাই তোমার কাছে এই একান্ত অনুরোধ, তুমি মে মাসের কিআতে গুড্ডুবুড়াকে নিয়ে একটা নতুন গল্প লেখো।

সাগ্নিক সাহা
ষষ্ঠ শ্রেণি, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা

কিআ: প্রিয় সাগ্নিক, এই হলো বিপদ, বুঝলে? কমিকস ছাপতে গেলে একটু বেশি জায়গা লাগে। ফলে শুধু গল্প নয়, অনেক কিছুই কমাতে হয়। সব সংখ্যায় হয়তো সবকিছু দেওয়া যাবে না। তাই কোনো সংখ্যায় গল্প বেশি হবে, কোনো সংখ্যায় কমিকস। ভালো থেকো। তোমার জন্য গুড্ডুবুড়ার নতুন গল্প আছে কিন্তু। পড়ে জানিয়ো কেমন লাগল।

প্রিয় কিআ,

তুমি যদি শিখিয়ে দিতে, কীভাবে কুইজের উত্তর পাঠাব, তাহলে খুব ভালো হতো।
আশা করি, আমার আবদারটি রাখবে।

মাসঊদা সুলতানা
পঞ্চম শ্রেণি, কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল অ্যান্ড কলেজ (ইংলিশ ভার্সন), ঢাকা

কিআ: কুইজের উত্তর পাঠানো খুবই সহজ। উত্তরগুলো চিহ্নিত করে কেটে কুপনসহ কিআর ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলেই হবে। চাইলে আলাদা কাগজেও উত্তরগুলো লিখে পাঠাতে পারো, তবে কুপনটা পাঠাতেই হবে। এই তো, আর কোনো প্রশ্ন থাকলে জানাবে।

প্রিয় কিআ ভাইয়া,

আমার ভাই নেই, তাই তোমাকে আদর করে (ছোট্ট) ভাইয়া ডাকছি। তোমাকে ধন্যবাদ রহস্য উপন্যাস অয়ন-জিমির জন্য। এমন রহস্য উপন্যাস আমার অনেক ভালো লাগে। জানো, আমি তিন গোয়েন্দা, ফেলুদা, মিসির আলী, কাকাবাবু সমগ্র—সব পড়ে ফেলেছি। তা–ও বারবার পড়তে ভালো লাগে। কিন্তু একটা কথা, আমি মার্চ ২০২০ থেকে হকারকে বলেও কিআ পাচ্ছি না। করোনা পরিস্থিতির জন্য কি কিআ ছাপানো বন্ধ? কিশোর আলোর গ্রাহক কুপন তোমার ঠিকানায় পাঠানো এখন সম্ভব নয়। তাহলে আমি কীভাবে বই পাব?

উম্মে হানী রাইতা
দশম শ্রেণি, ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইনস্টিটিউট, ঢাকা

কিআ: বলো কী রাইতা, এত দিন কিআ পাওনি, আগে বলবে না? ২০২০–এর মে আর জুন এই দুই মাস ছাড়া নিয়মিত কিআ বেরিয়েছে। এখনো বেরোচ্ছে। তোমার এলাকার হকারের কাছে কিআ না পেলে তুমি প্রথমা ডটকম থেকে কিআ অর্ডার করতে পারো। কিআ পৌঁছে যাবে তোমার বাসায়।

প্রিয় কিআ,

বিশ্বাস হচ্ছে না তোমাকে লেখা এটাই আমার প্রথম চিঠি। অথচ তোমাকে কতই না আপন লাগছে, লিখতে একদমই সংকোচ হচ্ছে না। নিজের আপন ভাইয়ার কাছে লিখতে কেনই–বা সংকোচ হবে? যদিও তুমি বলেছ যে তোমার বয়স সাত, কিন্তু আমার মনে হয় তুমি আমার চেয়েও বড়, না হলে আমার ভাইয়া হবে কী করে? করোনার এই আটকে পড়া সময়ে তুমি ছিলে আমার এক চমৎকার আবিষ্কার! দমবন্ধ দিনে এক সত্যিকারের সাথি! মাত্র দেড় মাস আগে তোমাকে পেলাম আর এখন তোমাকে বন্ধুর মতো মনে হচ্ছে।

জানো, আমি গল্প লিখছি। সেগুলোই এখন মাথার মধ্যে ঘুরঘুর করছে। পড়াশোনা তো ছাই হচ্ছে না, শুধুই গল্প আর গল্প! এখন চটপট লিখে ফেলা আরকি। কিন্তু পাঠাতেই যত ভয়, যা বাঘা বাঘা লেখা ছাপো তুমি, আমার লেখা তো সেগুলোর কাছে কিছুই মনে হবে না, ছাপানো তো দূরের কথা!

তবু সাহসে বুক বেঁধে লিখে পাঠাচ্ছি, ছাপো না ছাপো, অন্তত অংশগ্রহণ তো করা হবে। কী বলো?

জুবায়েত সুমিত
দ্বাদশ শ্রেণি, বরেন্দ্র কলেজ, রাজশাহী

কিআ: অবশ্যই। যা মাথায় আসবে, লিখে পাঠিয়ে দেবে আমার কাছে। তোমার কাজ লেখা, বাকিটা আমার কাজ। আর আমাকে তো আপন লাগবেই, ভাই না আমরা? ভালো থেকো।