প্রিয় কিআ,
তোমার কী ভালো লাগে? আকাশ নাকি সমুদ্র? আমার সমুদ্র খুব ভালো লাগে। জানো, আমার জলমানব হতে ভীষণ ইচ্ছা করে। ইচ্ছা করে পানির নিচে বাস করতে। যেখানে আমার বন্ধু হবে বিশাল বড় নীল তিমি আর গোলাপি ডলফিনের দল। জানো, আমি যখন ভাবি যে আমি ডলফিনের পিঠে চড়ে, নীল তিমির সঙ্গে সমুদ্রের গভীরে ঘুরে বেড়াচ্ছি, সমুদ্রের পানিতে খেলছি; ভাবতে ভাবতে নিজেই বিমোহিত হয়ে যাই। আমরা আমাদের পোশাক বানাব সামুদ্রিক উদ্ভিদ, শৈবাল দিয়ে। পড়াশোনা করব পানি নিয়ে, পানির সবকিছু নিয়ে। এমন হলে কত মজা হতো, তা–ই না? তবে এটি হয়তো সম্ভব না–ও হতে পারে। কিন্তু আমি ভাবি যে হয়তো কোনো দিন এসব বাস্তব হবে। যদি বাস্তব না হয়, তবু কোনো সমস্যা নেই। আমি না হয় নিজে নিজেই এসব ভাবব মনের মধ্যে, নিজের মনে নিজে নিজেই বানাব জলমানবের এক জগৎ। কারণ, ভাবতে তো বাধা নেই। তা–ই না? তুমি কী বলো?
নুসাইবা বিনতে সাহেদ
অষ্টম শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
কিআ: দারুণ ভাবনা! অবশ্য জলের সেই জগতেও যে পড়াশোনা ব্যাপারটা ঢুকে পড়েছে, এটাই ভয়ের ব্যাপার! দেখা গেল, সেখানেও মাছ ধরা কিংবা ভেসে থাকা নিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে! ভেবেই তো ভয় লাগবে। তবে মা-বাবা এই ভাবনা শুনলে হয়তো বলবে, ‘বেশিক্ষণ পানির কথা ভাবিস না। ঠান্ডা লেগে যাবে।’ তাতে তুমি তোমার ভাবনা থামিয়ো না।
প্রিয় কিআ,
তোমার সম্পর্কে একটি কথা আমাকে ভীষণ কষ্ট দিচ্ছে। সেটা হলো, কিআতে নাকি নামীদামি স্কুলের শিক্ষার্থীর লেখা ছাড়া উপজেলা কিংবা কিছুটা অজপাড়াগাঁয়ের স্কুলের শিক্ষার্থীদের লেখা তেমন ছাপানো হয় না। আমিও দেখেছি, কিআতে প্রকাশিত বেশির ভাগ লেখাই নামীদামি স্কুলের। বিষয়টা একটু খুলে বলো তো।
আহ্সানুল্লাহ
নবম শ্রেণি, সূতী ভিএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, টাঙ্গাইল
কিআ: ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখবে, আমাদের ক্রমটা এ রকম—শুরুতে চিঠি/ লেখা, তারপর নাম। তারপর শ্রেণি, তারপর স্কুল, জেলা। তোমার কথা অনুযায়ী, আমরা যদি শুধু নামীদামি স্কুলের শিক্ষার্থীদের লেখা ছাপতাম, তাহলে স্কুলের নামটাই বেশি গুরুত্ব পেত না? তোমার ধারণাটি ঠিক নয়। আগেও বলেছি, চিঠি/ লেখা কে পাঠিয়েছে, সে ছেলে না মেয়ে, বড় স্কুলের নাকি ছোট স্কুলের, ঢাকার না বান্দরবানের—এগুলো কোনো কিছুই আমরা দেখি না। একটা বিষয়ই আমরা দেখি, লেখাটি ছাপার যোগ্য কি না। লেখা ভালো হলে ছাপা হবেই। আশা করি বুঝতে পেরেছ। ভালো থেকো।
প্রিয় কিআ,
গত মার্চে নানু মারা গেলে আমরা পুরো পরিবারসহ ঢাকায় যেতে হয়। সেখানে আমি আমার খালাতো ভাইয়ের কাছে কিআর এক মস্ত বান্ডিল দেখতে পেয়ে পড়তে শুরু করি। সেখানে কয়েকটা বান্ডিলে তিন গোয়েন্দার পুরোনো টাওয়ার উপন্যাসটি দেখতে পাই। আমি তিন গোয়েন্দার ভক্ত। আমি তিন গোয়েন্দার ভক্তদের পক্ষ থেকে তোমাকে অনুরোধ জানাচ্ছি, আবার আরেকটা তিন গোয়েন্দা ছাপাও। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ এবারের সংখ্যাটার জন্য।
লাজিম মাহতাব
অষ্টম শ্রেণি, কুমিল্লা মডার্ন হাইস্কুল, কুমিল্লা
কিআ: ধন্যবাদ মাহতাব। কিশোর মুসা রবিনের নতুন কোনো অভিযান আবার আসবে। একটু অপেক্ষা করতে হবে। তত দিনের কিআর বান্ডিলগুলো পড়ে শেষ করে ফেলো। তোমার নানুর আত্মার জন্য শান্তি কামনা করি। তোমরা ভালো থেকো।
প্রিয় কিআ,
অনেকেই বলছে তুমি নাকি কেবল তাদের চিঠি ছাপাও, যারা খামে করে পাঠিয়ে থাকে। আর যারা ই–মেইলের মাধ্যমে পাঠায়, তাদের চিঠি নাকি খুলেই দেখো না। এ অন্যায়কে সমূলে উৎপাটন করতে আমি তাদের হয়ে ই–মেইলে চিঠি পাঠালাম। যা–ই হোক, মে মাসের কিআ অসাধারণ হয়েছে। প্রতিটি গল্প হয়েছে মৌলিক। আর অয়ন জিমির গল্পের জন্য আমরা প্রতি মাসেই অপেক্ষায় থাকি। আশা করি কিআ একদিন গল্পে গল্পে ভরে উঠবে।
আহসান রিয়াদ
নবম শ্রেণি, ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম
কিআ: ‘অনেকেই বলছে’ টাইপ গুজবে কান দিয়ো না। নিজে যাচাই করে দেখো। মনে রাখবে, ই–মেইল আর খাম বাইরে কেবল, ভেতরে সবারই সমান চিঠি।
প্রিয় কিআ,
প্রচণ্ড গরম। সে জন্য তোমাকে একটা পাখা পাঠালাম। আচ্ছা, তুমি অরিগ্যামি বাদ দিয়েছ কেন? অরিগ্যামি ছাপবে। আর পাখাটি ব্যবহার করবে। একটু ছোট হয়েছে অবশ্য।
সাদিক শাহরিয়ার
চতুর্থ শ্রেণি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, রাজশাহী
কিআ: অনেক ধন্যবাদ সময়োপযোগী উপহারের জন্য। ছোট হলেও সমস্যা নেই। পাখাটা ধরে মাথা ডানে–বামে ঘুরিয়ে ভালো বাতাস পেয়েছি। তুমিও চেষ্টা করতে পারো। ভালো থেকো।