জেগে দেখা অদ্ভুত কল্পনা

প্রিয় কিআ,

রাত ১০টার দিকে বাবা বাসায় এল। দরজায় ঠক ঠক আওয়াজ। আমি দৌড়ে গিয়ে দরজা খুললাম। বাবার হাতে কিআ দেখে উত্তেজনায় টান দিয়ে নিয়ে নিলাম। বাবা ভেতরে ঢুকে গেল। আমি এখনো দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। প্রতিবারের মতো এক নজরে দেখে নিলাম এবারের কিআতে কী কী আছে। দেখা শেষে আমি নাচতে নাচতে চলে এলাম আপুদের ঘরে। ওরাও কিআর অনেক বড় ভক্ত। আমরা সবাই কিআর ভেতরে একেবারে মগ্ন হয়ে গেছি। এই ফাঁকে ঘটল সর্বনাশ! একদল চোর ঢুকে পড়ল ঘরে। ঘরের সব স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, টিভি, ফ্রিজ, ঘড়ি... ইত্যাদি নিয়ে চলে গেল। বাসার সবার চোখেমুখে ভয়। সবাই প্রচণ্ড রাগ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে (কারণ, আমিই তো দরজা খুলে এসেছিলাম)। আমি তখন শুধু ভাবছি, কী হলো এটা (আসলে ভাগ্য ভালো, বাস্তবে এমন কিছুই হয়নি। এটা ছিল আমার জেগে দেখা একটা অদ্ভুত কল্পনা)।

নাফিসা তাবাসসুম
দশম শ্রেণি, দরবেশপুর উচ্চবিদ্যালয়, লক্ষ্মীপুর

কিআ: যাক, আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম সত্যি! বাঁচা গেল, নাহলে তোমার বাসার সবাই দোষ দিত তোমাকে। আর তুমি দোষ দিতে আমাকে! আঁকাটাও বেশ মজার হয়েছে। ভালো থেকো তোমরা।

প্রিয় কিআ,

জানো তো, ইদানীং কিছু বিষয় ভুলে যাচ্ছি। যেমন তোমাকে লেখা পাঠানোর কথা মনেই থাকে না। পাঠাব পাঠাব করতে করতে একদম ২০ তারিখ অর্থাৎ শেষ দিন লেখা পাঠাই! কী করব বলো তো? আর তুমিও কিন্তু ভুলোমনা হয়ে যাচ্ছ! গত মাসে দুজনের চিঠির উত্তর দাওনি! তারা কতটা কষ্ট পাবে, ভাবো তো! আর কিআ তো কাউকে কষ্ট দিতে পারে না। তাই তোমাকে এসব দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর হ্যাঁ, ফেব্রুয়ারি সংখ্যাটা দারুণ ছিল। ‘ওয়ার্ডল’ খেলাটার কথা পড়ে আমি এখন প্রতিদিন খেলি। আমি এ পর্যন্ত প্রতিদিনই বিজয়ী হয়েছি। খেলাটা সত্যিই দারুণ! এ রকম আরও নতুন নতুন তথ্য দিয়ো কিন্তু। আর সামনে তোমার ১০০তম সংখ্যা আসছে। তার জন্য অনেক শুভকামনা। ভালো থেকো কিআ।

বিবি মরিয়ম লাবণ্য
এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২২
ভান্ডারিয়া বন্দর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পিরোজপুর

কিআ: তুমি শেষ সময় লেখা পাঠাও কে বলল? তুমি তো সবার চেয়ে এগিয়ে থাকার জন্য লেখা পাঠাও ২০ তারিখে। ধরো, সবাই লেখা পাঠায় এপ্রিল সংখ্যার জন্য। কিন্তু ২০ তারিখে তুমি পাঠালে একেবারে মে সংখ্যার জন্য। তার মানে তুমিই কিন্তু এগিয়ে। আর হ্যাঁ, করোনার পর কী যেন হয়েছে, খালি ভুলে যাই। মনেই থাকে না। গত সংখ্যায় যাদের চিঠির উত্তর দিতে ভুলে গিয়েছিলাম, তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। সবাই ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

আশা করি ভালো আছ। আমি মান্ডালা আর্ট করতে খুবই ভালোবাসি, আমি তোমার নামের একটি মান্ডালা করে তোমাকে পাঠালাম। আশা করি তোমার পছন্দ হবে।

তাহিয়া বিনতে হাবিব
অষ্টম শ্রেণি, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, চট্টগ্রাম

কিআ: খুব সুন্দর এঁকেছ তাহিয়া। তোমার আঁকাটা আমরা আমাদের টেবিলে সাজিয়ে রাখব। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। ভালো থেকো।