ভালো লাগে একটা দিঘি

প্রিয় কিআ,
আজ আমি তোমাকে আমার একটা ভালো লাগার কথা বলব। সবারই ভালো লাগে সন্ধ্যার আকাশ, রাতের জোছনা কিংবা বিস্তীর্ণ খোলা মাঠ, এসব। কিন্তু আমার ভালো লাগে একটা দিঘি। সেই দিঘি পানিতে ভরা না থাকলেও চলবে। শুধু দিঘির চারপাশে জল ছুঁই ছুঁই ঝোপ থাকতে হবে। দিঘিটা চারপাশের বড় বড় বৃক্ষের ছায়া পড়বে। দিঘির পানিতে হালকা ঢেউ থাকবে না। শুধু স্থির পানির ওপর মাঝেমধ্যে ছোঁ মারবে দু–একটা মাছরাঙা। দিঘির ওই পাশে ছোট্ট ছোট্ট বাড়িঘর। দিঘির পানিতে সেগুলোর ছায়া পড়লেও মন্দ হবে না, কী বলো! দিঘিতে পদ্ম ফুলও থাকতে পারে, কিন্তু পদ্মপাতা আর তার ওপর যেন কয়েক ফোঁটা শিশিরবিন্দু থাকে। আমার যখনই মন খারাপ হবে, আমি সেই দিঘির ধারে গিয়ে বসে থাকব। দুপুরের রোদে দিঘির পানিতে আমার ছায়া পড়বে আর দিঘি আমার সব দুঃখ টেনে নেবে। আমার একাকিত্বগুলো কাটানোর জন্য এ রকম একটা দিঘি চাই। এ কারণেই হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ গানটা আমার এত ভালো লাগে। তুমি শুনেছ গানটা?

ফারহান আহমেদ
এসএসসি পরীক্ষার্থী, মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, মাগুরা

কিআ: শুনেছি। সুন্দর গান। সুন্দর তোমার কল্পনাও। পড়ে তো আমারই এমন একটা দিঘির সামনে গিয়ে বসে থাকতে ইচ্ছা করছে। এমন একটা পরিবেশে কিছু না করে চুপচাপ বসে থাকলেও শান্তি। শুধু ‘যখন মন খারাপ হবে’ তখন নয়, মন ভালো থাকলেও দিঘির সামনে গিয়ে বসে থাকতে পারো। কিন্তু আসল কথা হলো, দিঘিটা পাবে কোথায়? মাগুরায় কি এমন দিঘি আছে?

প্রিয় কিআ,
ধন্যবাদ! ধন্যবাদ! অসংখ্য ধন্যবাদ এমন জমজমাট একটি সংখ্যা করার জন্য। সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি রহস্যোপন্যাস অয়ন-জিমি দেখে। আমি কিন্তু তোমার পাশাপাশি অয়ন-জিমিরও ফ্যান। তাই তোমার প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ, অয়ন-জিমি সিরিজের ধারাবাহিক উপন্যাস ছাপাও। ইসমাইল আরমানকে বলবে কিন্তু!
পুনশ্চ: এই চিঠি প্রথমবার পাঠানোর পর মনে পড়ল নাম–ঠিকানা লিখতে ভুলে গিয়েছি! তাই আবার লিখলাম।

রেহনুমা নাফিসা
অষ্টম শ্রেণি, মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চাঁদপুর

কিআ: এই যে তোমরা নাম-ঠিকানা লিখতে ভুলে যাও, এ জন্য কী যে বিপদে পড়তে হয় আমকে! ভুলে গেলে চলবে? ভুল যেন না হয়, এ জন্য খুব মনোযোগ দিয়ে লিখতে হবে। খেয়াল করতে হবে। এই যেমন আমি করছি। বুঝেছ? ভালো থেকো।
পুনশ্চ: লেখা শেষ করার পর মনে পড়ল, আসল কথাই বলা হয়নি। তোমার ধন্যবাদ এবং দাবি ইসমাইল আরমানের কাছে পৌঁছে দেব। এই দেখো, তোমাকেও ধন্যবাদ দিতেই ভুলে গেছি! কী একটা লজ্জার ব্যাপার, বলো তো! ধন্যবাদ নাফিসা। ভালো থেকো।

অলংকরণ: রাকিব রাজ্জাক

প্রিয় কিআ,
বাবার সঙ্গে হাঁটতে বের হয়েছিলম। বাবা আমাকে মার্চ মাসের কিআ কিনে দিল। আমার বয়স ৭ বছর। ৯ এপ্রিল আমার জন্মদিন। জীবনের প্রথম কিআ পেয়ে কমিকস, ফিচার, কৌতুক আর গল্প পড়া শুরু করলাম। আমি ছোট তো, তাই বানান করে করে পড়তে হয়। তবু ঘুমানোর সময় বালিশের কাছে আমার কিআ চাই-ই চাই! মনে হয় জন্মদিনের আগে বাবার কাছ থেকে মহামূল্যবান উপহার পেয়েছি। আমার চেয়ে ২ বছরের ছোট কাজিন সানাকে এখন কিআ পড়ে শোনাতে পারি। তুমি আমাদের মতো খুব ছোটদের জন্য মজার মজার কমিকস, গল্প আর কৌতুক ছাপাবে। যাতে সানাকে নিয়ে মজা করে পড়তে পারি। আর স্কুল খুললে অবশ্যই তোমার গল্প আমার স্কুলের বন্ধুদের শোনাব। আর আমার জন্মদিনে উইশ করতে ভুলবে না কিন্তু কিআ।

তাফান্নুম নাওয়ার
প্রথম শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ

কিআ: শুভ জন্মদিন! অনেক অনেক শুভেচ্ছা তোমাকে। এই যে তোমার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে একটা কেক। সানাকেও দেখিয়ো কিন্তু। অনেক ভালো কাটুক তোমার জন্মদিন। কেমন মজা করলে, চিঠি লিখে জানিয়ো।

প্রিয় কিআ,
তুমি তো হাসিসংখ্যা, শখসংখ্যা, রূপকথাসংখ্যা ইত্যাদি অনেক সংখ্যাই বের করেছ। তোমার কি একবারও মনে হয়নি যে যারা ঘুরতে ভালোবাসে, তাদের জন্য একটা ভ্রমণসংখ্যা বের করা উচিত। তুমি কি একটি ভ্রমণসংখ্যা বের করতে পারো না? আমি কিন্তু ভ্রমণ করতে খু–উ–উ–উ–উ–ব ভালোবাসি। আশা করি আমার মতো যারা ঘুরতে ভালোবাসে, তাদের জন্য একটি ভ্রমণসংখ্যা বের করবে। আমি কিন্তু আমার ভ্রমণকাহিনি লিখেছি কিআতে পাঠানোর জন্য। আর হ্যাঁ, গত সংখ্যায় মেধাকচ্ছপিয়া নিয়ে লেখাটা খুব ভালো লেগেছে।

নুসরাত জাহান
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ

কিআ: আরে আমিও তো ভ্রমণ করতে খুব ভালোবাসি। কিন্তু এখন ঘর থেকেই বের হতে পারছি না। এখন ভ্রমণসংখ্যা বের করলে তোমাদের আক্ষেপটা আরও বেড়ে যাবে না? সবকিছু ঠিক হোক, ভ্রমণসংখ্যা হবে। আপাতত ঘরে থাকো। পরে ঘুরতে যেতে হবে না?