মাবরুরার বইয়ের আলমারি

অলংকরণ: নাইমুর রহমান

মিষ্টিবন্ধু কিআ,

আমি মাবরুরার বইয়ের আলমারি। আমার দায়িত্ব অনেক বেশি। সে যাতে কষ্ট না পায়, তার খেয়াল সব সময়ই আমাকে রাখতে হয়। মানে, আমাকে সারাক্ষণ জেগে থাকে হয়। যাতে কোনো শত্রু (উইপোকা, বোলতা, তেলাপোকা) না এসে মাবরুরার বই চুরি না করে। ওর কাছে ৮০০টির বেশি বই আছে। যার মধ্যে বেশির ভাগ বিজ্ঞান–সংক্রান্ত বই। তোমার সংখ্যা প্রায় ২০–এর কাছে। তার মনে, সব সময়ই একটা দুঃখ থাকে। তোমার সংখ্যা খুবই কম। সে বলে, তুমি রসগোল্লার সমতুল্য। তুমি অনেক মিষ্টি। আমি চাই, তুমি মাবরুরাকে যেভাবেই হোক সান্ত্বনা দেবে। আর একটা ইন্টারেস্টিং কথা বলে রাখি। সে খুব বইপোকা। আর সে বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে চায়।

মাবরুরা জান্নাত
পঞ্চম শ্রেণি, ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম

কিআ: আহা, তোমার ওপর তো বেশ চাপ যাচ্ছে। ৮০০ বই নিয়ে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকা তো চাট্টিখানি কথা নয়! মাবরুরাকে সান্ত্বনা দেওয়ার আগে তাই তোমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছি। আর মাবরুরাকে বলে দিয়ো, প্রথমাতে পুরোনো অনেক সংখ্যা খুঁজে পেতে পারে। তাহলেই আরও বেশি কিআ রাখতে পারবে তুমি।

প্রিয় কিআ,

আমি তোমার এক পুরোনো পাঠক। কিন্তু এত দিন কিছুই বলিনি। তুমি কতগুলো বিভাগ বাদ দিয়েছ। কেন? যেমন মনোবন্ধু, কী হবে যদি, নিজেকে জানো ইত্যাদি ইত্যাদি। আর তুমি কত চিকন হয়ে গেছ।

ইতি
আনহা
সপ্তম শ্রেণি, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কিআ: প্রিয় আনহা, আমিও এত দিন কিছুই বলিনি। আজ বলছি। বিভাগগুলো বাদ দিইনি। মাঝেমধ্যে ছাপা হচ্ছে। আবার ছাপা হবে। চিন্তা কোরো না।

প্রিয় কিআ,

অনেক অনেক সুন্দর ও মজার ছিল গতবারের সংখ্যাটা। গল্প আর উপন্যাসগুলো ফাটাফাটি ছিল। রহস্যোপন্যাসটিতে অয়ন-জিমির কাণ্ড দেখে কখন হেসে ফেলি, খেয়ালই থাকে না। ধন্যবাদ, এত ভালো একটা সংখ্যা করার জন্য। কিন্তু এতগুলো মজার গল্প দেখে হয়তো ‘আমরা সবাই রাজা’ আবার ব্যাগট্যাগ গুছিয়ে তোমাদের ফাঁকি দিয়ে বেড়াতে চলে গিয়েছিল। আগামী দিনে আর যেতে দিয়ো না। তোমাদের জন্য অনেক দোয়া রইল। ভালো থেকো।

রোকাইয়া জাহীন
অষ্টম শ্রেণি, চকরিয়া গ্রামার স্কুল, কক্সবাজার

কিআ: ধন্যবাদ জাহীন। বুঝতেই পারছ, ‘আমরা সবাই রাজা’ বলল, ‘দুটো উপন্যাস যেহেতু আছে, এবার তাহলে একটু ঘুরে আসি। কেউ মাইন্ড করবে না।’ কিন্তু তোমরা সবাই যেভাবে খেপে গেলে! মাঝেমধ্যে তো একটু বিশ্রাম দেওয়া যেতে পারে, কী বলো? ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

কেমন আছ? সারা দিন কীভাবে কাটাও তুমি? আমাদের জন্য দারুণ দারুণ লেখা লিখে? কীভাবে তুমি সবার মনের আরও অনেক গভীরে জায়গা করে নিতে পারো এই ভেবে? মনে হয় বেশ ভালোই কাটছে! মাঝখানে তো এক্কেবারে শুকিয়ে গিয়েছিলে। এখন তো তা–ও একটু উন্নতি! ঈদ কেমন কাটল তোমার? আশা করছি ঈদে খেয়েদেয়ে আরেকটু মোটাতাজা হয়েছ। যাহোক, তবু তুমি সব সময় সুন্দর! তোমাকে বড্ড ভালোবাসি। ভালো থেকো প্রিয় কিআ!

সিমি
দশম শ্রেণি, সৃষ্টি একাডেমিক স্কুল, টাঙ্গাইল

কিআ: তোমাদের সুন্দর সুন্দর চিঠি পড়তে পড়তেই তো দিন পার হয়ে যায়! সঙ্গে আছে তোমাদের পাঠানো লেখা, আঁকা! কোনটা রেখে কোনটা ছাপব, এটা ভাবতেই ভাবতেই দেখি আরেকটা নতুন দিন চলে এসেছে!

প্রিয় কিআ,

অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বই অনুসারে ৭-১০ বছর বয়সী বাচ্চাদের গড় ওজন হওয়া উচিত ২৮ কেজি। তোর হিসাবে যা ২৮ গ্রাম। তোর ওজন মেপে দেখলাম ০.১১ গ্রাম। এত রোগা হতে তুই কোন ডায়েট ফলো করিস? আমি অনেক মোটা রে! চল, একটা কাজ করি। তোর খাদ্যতালিকাটা আমাকে দে। আমার খাদ্যতালিকাটা তুই নিয়ে নে। অর্থাৎ, এক্সচেঞ্জ। আইডিয়াটা কেমন?

কিআ: খুব ভালো আইডিয়া! তুমি নিশ্চয়ই মজার মজার সব খাবার খাও। আমাকে তো গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি ওষুধের মতো বিজ্ঞাপনও খেতে হয়। তখন বুঝবে বিজ্ঞাপন খেতে কেমন লাগে!