মুমূর্ষু অ্যাসাইনমেন্ট–আক্রান্ত কিশোরী

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

প্রিয় কিআ,

আমি গুণগুণের আদরের পুতুল ‘কোকো’ বলছি। তুমি কি জানো, গত জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সে তোমাকে কাছে পায়নি বলে কত কান্নাকাটি করেছে! কত কষ্টের কথা বলেছে আমাকে! সে বাবাকে বারবার বলেছে, যাতে তাকে কিআ এনে দেন। কিন্তু বাবা রাজি হননি। হঠাৎ মাম্মা যখন তাকে আগস্ট মাসের কিআ এনে দিলেন, তার খুশি আর দেখে কে! অনেক অনেক ধন্যবাদ কিআ তোমাকে; গুণগুণের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। আর হ্যাঁ, এবারের চিঠিটা আমি লিখলাম, যদি এই চিঠি ছাপাও তাহলে সে বলেছে সে নিজে পরেরবার তোমার কাছে লিখবে (গুণগুণ অ্যাসাইনমেন্ট করে ক্লান্ত)। ভালো থেকো কিআ। হাত স্যানিটাইজ করতে ভুলো না যেন!

গুণগুণ
দশম শ্রেণি, সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়।

কিআ: ধন্যবাদ কোকো। গুণগুণ দেখছি তোমাকেও চিঠি লেখা শিখিয়ে দিয়েছে। সাবধান, কোনো দিন দেখবে তোমাকেও স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছে। আচ্ছা, ওর অ্যাসাইনমেন্টগুলো তুমি করে দিতে পারো না? তাহলেই তো গুণগুণ গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে চিঠি লিখতে পারে। ওকে সাহায্য করো। একজন মুমূর্ষু অ্যাসাইনমেন্ট–আক্রান্ত কিশোরীকে বাঁচাতে এগিয়ে এসো।

প্রিয় কিআ,

আমি শোভা। আমার আপুর নাম শুভ্রা। আমরা মানে... এখন শুধু আমি ফার্মগেটে একটা বাসায় থাকি। আমার খুব কাছের কোনো বন্ধু নেই। আপুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো ছিল, তারপর আপু একদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেল। তারপর চলেও গেল একদিন। আজকে আমার জন্মদিন। আপু আমাকে উইশ করেনি। হয়তো ভুলে গেছে। কিন্তু আমার তো আপুকে খুব মনে পড়ে।

তাসকিয়া হক
সপ্তম শ্রেণি, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ

কিআ: আরে বোকা, আপু ভুলে গেছে তো কী হয়েছে? তুমি তো ভুলে যাওনি। মন খারাপ না করে তুমিই আপুকে ফোন করে উল্টো বলবে, ‘কী ব্যাপার, আমার জন্মদিন ভুলে গেলে কেন? এখন উইশ করো আর ভুলে যাওয়ার জন্য ডাবল গিফট পাঠাও।’ বুদ্ধিটা কেমন? আর আপুর কথা মনে পড়লেই তাকে ফোন করবে। তার মনে পড়ুক বা না পড়ুক, তোমার মনে পড়ছে, এটাই বড় কথা।

প্রিয় কিআ,

কেমন আছ তুমি? আগস্ট মাসের সংখ্যা খুবই ভালো লেগেছে আমার। কিআ, আগামী মাসে তোমার জন্মদিন। আগাম শুভ জন্মদিন। তোমার জন্মদিন উপলক্ষে কী ট্রিট দিচ্ছ? অনেক দিন হয়ে গেছে কোনো ভূত সংখ্যা ছাপাও না। তাই ট্রিট হিসেবে ভূত সংখ্যা ছাপাতে হবে। আর হ্যাঁ, অয়ন-জিমি গোয়েন্দা সিরিজও চাই। কিআ আমি সরি বলতে চাই। করোনা পরিস্থিতির কারণে তোমাকে কোনো উপহার দিতে পারছি না। প্লিজ মনে কিছু কোরো না। আমি সত্যি দুঃখিত। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। ভালো থেকো বন্ধু।

সিরাজাম মুণিরা
এসএসসি পরীক্ষার্থী, অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কিআ: অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। তুমি যে চিঠি লিখেছ, এটাই অনেক বড় উপহার। তোমাদের প্রতিটি চিঠিই আমাদের কাছে অনেক স্পেশাল। তোমাদের জন্য ট্রিট আছে। আগামী মাসেই দেখতে পাবে। পছন্দই হবে আশা করি। অপেক্ষা করো।

প্রিয় কিআ,

আশা করি ভালো আছ? এবারের সংখ্যাটি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। বিশেষ করে নানা দেশের সামুরাই লেখাটি। আচ্ছা তুমি কি জানো, আমার আর তোমার জন্মমাস একই? আমরা কি আমাদের মধ্যে উপহার দেওয়া–নেওয়া করতে পারি না? তুমি বলো, তোমার উপহার হিসেবে কী চাই?

মারিয়া ফরাজী
সপ্তম শ্রেণি, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

কিআ: আরে বাহ। শুভ জন্মদিন মারিয়া! শুধু জন্মমাস কেন, নামেও হালকা মিল আছে—কিআ আর মারিয়া। আমি উপহার হিসেবে চাই তোমাদের অনেক অনেক লেখা। তোমরা লেখা পাঠালেই আমরা খুশি। এবার বলো তুমি কী উপহার চাও।

প্রিয় কিআ,

আগস্ট সংখ্যাটি আমার খুব ভালো লেগেছে, বিশেষ করে বাসব রায়ের ‘তাতা’ কমিকসটি। কমিকসটা আমার খুব ভালো লাগে। আর হ্যাঁ, ‘তোমাদের আঁকা’ বিভাগে কীভাবে আমার আঁকা পাঠাব?

পার্বন তালুকদার
চতুর্থ শ্রেণি, আব্দুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ

কিআ: ধন্যবাদ পার্বন। বাসব রায়কে তোমার ধন্যবাদ পৌঁছে দিয়েছি। তোমার আঁকা ছবি স্ক্যান করে ইমেইলে পাঠাতে পারো। কিআর ইমেইলটা হলো—[email protected]। এ ছাড়া কাগজে এঁকে পাঠাতে পারো ডাকযোগেও।