মোটা কিআ!

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

প্রিয় কিআ,

জানুয়ারি সংখ্যা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। দেখলাম তুমি মোটা হয়ে গেছো! কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব! তুমি কিভাবে মোটা হতে পারো! তারপর আমি ডিসেম্বর সংখ্যার সঙ্গে ওই পৃষ্ঠা মিলিয়ে দেখলাম। না, তুমি মোটা হওনি!

তারপর সবশেষে ভেতরে দেখলাম, একটা রুটিন। ওই রুটিনের জন্যই তোমাকে মোটা দেখাচ্ছিল!— বোঝো কাণ্ড!

অনিক বিশ্বাস
নবম শ্রেণি, মাধবপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, হবিগঞ্জ

কিআ: দেখলে, কেমন সারপ্রাইজ দিলাম। এমন অনেক কিছুই হবে যা কেউ ভাবেনি আগে।

প্রিয় কিআ,

শোনো কী হয়েছে। আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়তাম। হঠাৎ একদিন ফেসবুকে কিশোর আলো নামে একটি গ্রুপ আমার চোখে পড়ে। তারপর সেই গ্রুপে জয়েন করি। দেখতাম তোমার সংখ্যাগুলো। খুব পড়তে ইচ্ছা করত। কিন্তু আমি আমার এলাকার কোনো লাইব্রেরিতে তোমাকে পাইনি। আমার বাবাও পাননি। খুব আগ্রহ ছিল কিশোর আলো কেমন পড়তে তা জানতে। পরে একদিন জানতে পারলাম, অনলাইনে নাকি কিআ পাওয়া যায়। ব্যস! তখনই অর্ডার দিলাম । তোমার অক্টোবর ২০২১ সংখ্যাটি আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে।

তবে মজার ঘটনা ঘটে গত ডিসেম্বর (২০২১) সংখ্যাটি বাসায় আনার সময়। অর্ডার করার সময় ঠিকানা দিয়েছিলাম আমার মামার দোকানে। সেদিন ছিল ১৪ ডিসেম্বর। আমাদের স্কুলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করার পাশাপাশি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। আমরা সকালে কুচকাওয়াজ অনুশীলন করি। তারপর বিরতিতে আমি ও আমার বন্ধু আমার মামার দোকান (ফার্মেসি) থেকে তোমাকে নিয়ে আবার স্কুলে আসি। আমার হাতে কিআ দেখে আমার সব বন্ধুরা কিআ সম্পর্কে জানতে চায়। একে একে হাতে নিয়ে দেখে। কয়েকজন তো আমাকে দেখে বাসায় গিয়েই অর্ডার করে দেয়। ওরাও হতে চায় আমার মতো কিআ পাঠক। আর আমি হয়ে গেলাম আমার স্কুলের প্রথম কিআ পাঠক! মজার ব্যাপার! তাই না?

আবদুল্লাহ আল রাফি মিয়াজী
নবম শ্রেণি, দেবিদ্বার সরকারি রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়, কুমিল্লা

কিআ: পুরো একটা স্কুলের প্রথম কিআ পাঠক তুমি। এ তো দারুণ ব্যাপার। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। তোমার জন্য আরও অনেকে কিআ সম্পর্কে জানতে পারল। তোমার লেখাটা তাদের দেখাবে কিন্তু। তাদেরকেও বলবে লেখা পাঠাতে। সবাই ভালো থাকবে, অনেক শুভকামনা তোমাদের স্কুলের জন্য।

প্রিয় কিআ,

তোমাকে জানাই আমার অনেক ধন্যবাদ। তুমি আমার লেখা গল্প ‘আশাওয়ালা’ গত সংখায় ছাপিয়েছ। আমি ভাবতেও পারিনি, তুমি আমার গল্পটি ছাপবে। সকালে উঠেই বাবা আমাকে খবর দেন, কিআ তোমার গল্পটি ছাপিয়েছে। তখন আমি যে কী খুশি হয়েছিলাম, তা তোমাকে বলে বোঝাতে পারব না। জানো কিআ, এখন তো আশাওয়ালা (কুকুর) আর আমাদের কাছে আসে না। কিন্তু তার বোন আসে। তাকেও আমরা ‘আশাওয়ালা’ বলেই ডাকি। আশাওয়ালার বোনের মাঝে আমরা তার (আশাওয়ালার) ছায়া দেখতে পাই। আর হ্যাঁ, জানো কিআ, আশাওয়ালার বোনের না ছয়টা বাচ্চা হয়েছে। ওদেরও আমরা বিভিন্ন নাম দিয়েছি (আশা, ভরসা, সুখ, দুঃখ, ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা)। আশাওয়ালার বোনের বাচ্চাদের এবারও ওই খারাপ লোকেরা ফেলে দিয়ে এসেছিল। কিন্তু আমরা ওদের উদ্ধার করেছি। সেই গল্পটা তোমাকে পড়ে শোনাব আগামী সংখ্যাতে। আজ আর নয়, ভালো থেকো আর এভাবেই সবাইকে খুশি রেখো তুমি।

তাসনিয়া রাইসা
অষ্টম শ্রেণি, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চবিদ্যালয়, গাজীপুর

প্রিয় কিআ,

জানুয়ারি মাসের সংখ্যাটা দারুণ লেগেছে আমার। বিশেষ করে অয়ন-জিমির রহস্য উপন্যাসটি। বলতে গেলে অসাধারণ লেগেছে। যা হোক, আমার কিছু প্রশ্ন ছিল। ‘অয়ন-জিমি অপরাজিত ৩০’ প্রচ্ছদ রচনায় লেখা ছিল ‘তোমরা যারা কিশোর আলোর গল্পগুলো মিস করেছ, সংগ্রহ করতে পারনি পুরোনো সংখ্যাগুলো, তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে, শিগগিরই এগুলোর সংকলন আসছে।’ এটার মানে কী? সেটা বুঝতে পারছি না। আচ্ছা, আমি কি কিআ–তে উপন্যাস পাঠাতে পারব? আর গল্প কি যেভাবে চিঠি পাঠিয়েছি, সেভাবেই পাঠাব? তা ছাড়া অয়ন-জিমির যত গল্প বেরিয়েছে সব গল্প পড়তে চাই। আচ্ছা, অয়ন-জিমির রহস্য উপন্যাসটি কি পাওয়া যায়? মানে অনলাইনে অর্ডার করলে কি পাওয়া যাবে?

মাহদিয়া মুনতাহা
তৃতীয় শ্রেণি, ঢাকা সিটি আইডিয়াল মাদ্রাসা, ঢাকা

কিআ: সংকলন মানে হলো একসঙ্গে অনেক গল্প নিয়ে একটা বই। বইটি প্রকাশ অবশ্যই আমরা তোমাদের জানাব। এমনিতে অয়ন-জিমি সিরিজের সব বই সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তুমি চাইলে সেবা প্রকাশনীর ওয়েবসাইটে গিয়ে অর্ডার করতে পারো। ভালো থেকো।