সুপারম্যান দিয়ে উত্তর

অলংকরণ: রেহনুমা প্রসূন

প্রিয় কিআ,

কেমন আছ তুমি? শীতকাল এসেছে। শীতের গরম কাপড় পরতে হবে। না পরলে ঠান্ডা লাগবে। ঠান্ডা মানে জ্বর–সর্দি হবে! তখন ওষুধ খেতে হবে। আচ্ছা, তুমি কি ওষুধ খেতে পছন্দ করো? আচ্ছা, তুমি কি শীতের পিঠা খাও? তোমার পছন্দের শীতের পিঠার নাম কী? আচ্ছা, আসল কথায় আসি, কিআ, তুমি কি সুপারম্যানদের নিয়ে কোনো কমিকস ছাপাবে? সুপারম্যান আমার খুব ভালো লাগে। সুপারম্যানকে দিয়ে উত্তর পাঠিয়ো কিন্তু!

আফরিন চৌধুরী
চতুর্থ শ্রেণি, হরিনারায়ণপুর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াখালী

কিআ: ওষুধ খাওয়ার আবার পছন্দ–অপছন্দ আছে? জানতাম না তো। ওষুধ খাওয়ার সময় কিছু তো টের পাই না। পানির সঙ্গে টুপ করে গিলে ফেলি। ওষুধ খেতে হয় প্রয়োজনে। যখন অসুখ হবে, ওষুধ খেতে আমি একদমই দেরি করি না। তাতে তাড়াতাড়ি অসুখ পালিয়ে যায়। বুঝলে? তবে আমি পিঠা খেতে খুব ভালোবাসি। সব পিঠাই খেতে ভালো লাগে। শীতের পিঠার মতো মজার খাবার কে না ভালোবাসে, বলো! ওহ্, এই নাও তোমার সুপারম্যান।

প্রিয় কিআ,

তোমার অবস্থা ভালো তো? ডিসেম্বর সংখ্যা পড়ে একটু চমকেই গেলাম। কারণ, নতুন একটি ধারাবাহিক কমিকস ‘ইরাবতী’। প্রথম পর্ব পড়েই খুব ভালো লাগল। মানে অন্য রকম কিছু। আর আনিসুল হক স্যারের ‘তিন কিশোরের দুঃসাহসী অভিযান’ এককথায় দারুণ। এটি পড়ার পর দেশের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আরও বেড়ে গেল। তোমার কাছে অনুরোধ রইল, পারলে আউটসোর্সিং করে অর্থ উপার্জনসংক্রান্ত একটি সংখ্যা বের করো। আমার চিঠিটা যখন ছাপবে, তখন ২০২২ সাল। আর ২০২২ সালের জন্য রইল শুভেচ্ছা। আশা করি, ২০২২–এ মোটা হবে। ভালো থেকো।

রহিত সরকার
নবম শ্রেণি, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দিনাজপুর

কিআ: ধন্যবাদ রহিত। আউটসোর্সিংয়ে অর্থ উপার্জনসংক্রান্ত প্রচুর ভিডিও ইন্টারনেটে পাবে। সেখান থেকে দেখে নিতে পারো। নতুন বছরের শুভেচ্ছা তোমাকে। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

তুমি কি আমাকে কিআ অফিসে আসার আমন্ত্রণ জানাবে? আমি আফিফ। আমি এখনো স্কুলে ভর্তি হইনি। বাপ্পা (বড় আপু) আমার চিঠি লিখে দিচ্ছে। তোমার কাছে একটা আবদার আছে। আমার চিঠি ছাপাতে হবে। না হলে বাপ্পা যে লুকিয়ে লুকিয়ে কিআ পড়ে, তা আম্মুকে বলে দেব। আর শোনো, আমি তোমার আর আমার ছবি এঁকেছি। কেমন হয়েছে বলবে। টাটা।

আফিফ
পূর্ব রামপুরা, ঢাকা

কিআ: এই, খবরদার, আম্মু তখন বাপ্পাকে বকা দেবে। বাপ্পাকে বাঁচাতে তোমার চিঠি না ছেপে তাই আর কোনো উপায় নেই। তুমি দেখছি এই বয়সেই বেশ ‘ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল’ করা শিখে গেছ। কী দুষ্টু ছেলে রে বাবা! বাপ্পাকে আমার শুভেচ্ছা দিয়ো।

ও, ছবিটা খুবই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ, ওপরে নাম লিখে দিয়েছ, কত সহজে নিজেই চিনতে পারলাম‍!

প্রিয় কিআ,

আমি তোমার সবচেয়ে বড় ভক্ত রাফির ছোট ভাই (রাফি কিন্তু একটি মেয়ে)। আমি রাফি আপুকে বলেছি, তুমি ওর চিঠি ছাপাবে না। রাফি আপু মন খারাপ করে বসে আছে। তুমি আমাদের দুজনের চিঠি ছাপিয়ে দিয়ো। আর তুমি রাফি আপুর শ্রেণির ওখানে পঞ্চম শ্রেণি লিখে দিয়ো (আমি কিন্তু কোনো স্কুলে পড়ি না)। ভালো থাকবে এবং সুস্থ থাকবে।

তামিম শুয়াইব
সৈয়দপুর, নীলফামারী

কিআ: দেখো সবাই, বোনের প্রতি ছোট ভাইয়ের কী ভালোবাসা! বোনের মন খারাপ দেখে ভাই নিজেই অস্ত্র (পড়ো কি–বোর্ড) হাতে তুলে নিয়েছে চিঠি লেখার জন্য। স্কুলে না পড়েও কত সুন্দর চিঠি লেখা শিখে গেছে, দেখেছ? সবাই তামিমকে দেখে শেখো। আর রাফি (রাফি কিন্তু একটা মেয়ে, ও পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে), তুমি মন খারাপ কোরো না। চিঠি লিখতে বসে পড়ো। ভালো থেকো তোমরা।