সুষ্ঠু বিচারের দাবি

অলংকরণ: রেহনুমা প্রসূন

প্রিয় কিআ,

তোমার কাছে আমি আজ একটা বিচার চেয়ে চিঠি লিখছি। প্রতি মাসে বাবা আমাদের জন্য একটা কিআ কিনে নিয়ে আসে। আর অমনি আমার আর আমার পাঁচ মিনিটের ছোট বোন হৃদির মধ্যে মারামারি লেগে যায়। কে আগে পড়বে তা নিয়ে! একবার তো এই নিয়ে তোমাকে টানাটানি করতে করতে ছিঁড়েই গিয়েছিলে। সেই জন্য অনেক সরি..! আমি বলি, বাংলা বর্ণমালায় আমার নামের প্রথম অক্ষর আগে আসে, তাই আমি আগে পড়ব। কিন্তু হৃদি উল্টো বলে যে ইংরেজি বর্ণমালায় তার নামের প্রথম অক্ষর ‘H’ আগে আসে, তাই সে আগে পড়বে। এখন তোমার কাছে এই ঝামেলার এক সুষ্ঠু বিচার করার দাবি জানাচ্ছি।

তাশদিদ তোহা
অষ্টম শ্রেণি, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা

কিআ: বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, আমরা বাংলাদেশি, ফলে অবশ্যই বাংলায় যার নাম আগে, সে-ই আগে পড়বে। কেস ক্লোজড!

প্রিয় কিআ,

প্রায় অনেক মাস পরে এই নভেম্বরে কিআ কেনা হলো। আর সেটা খুলতেই বিশাল এক চমক। না না, এই চমক ভূত সংখ্যা হওয়ার জন্য নয়, এটা আমার প্রিয় কুইন ব্যান্ডের জন্য। এই প্রজন্মের কিআ হয়ে তুমি যে সত্তর-আশি দশকের একটা ব্যান্ড নিয়ে লেখা ছাপালে, তাতে আমি সত্যিই বিমোহিত। ফ্রেডি মার্কারির ওপর এত বড় একটা প্রতিবেদনের জন্য সহস্র ধন্যবাদ। এই চিঠি ছাপাবে কি না, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কারণ, কিআ মূলত স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীভিত্তিক। সেই হিসেবে আমার তো মেয়াদ শেষ!

লামিয়া শাহরিন
এইচএসসি পরীক্ষার্থী, হলি ক্রস কলেজ, ঢাকা

কিআ: স্কুল পেরিয়েছ তো কী হয়েছে? একবার যে কিআর পাঠক, সে সব সময়ই তা–ই। কিআর পাঠকদের কোনো মেয়াদ নেই। মেয়াদকে বলো, ‘ডোন্ট স্টপ মি নাউ’, কারণ, ‘ফ্রেন্ডস উইল বি ফ্রেন্ডস’। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

তোমাকে পড়ে আমি এখন দাবা খেলতে পারি। কিন্তু ৩×৩ রুবিকস কিউব মেলানোর পদ্ধতিটা শিখিয়ে দাও, প্লিজ। আর কিআ আগামী ১৫ ডিসেম্বর আমার জন্মদিন।

তাওসীফ আহনাফ
তৃতীয় শ্রেণি, হোলি সোল কিন্ডারগার্টেন, ময়মনসিংহ

কিআ: আমি নিজেই তো রুবিকস কিউব মেলাতে পারি না। আমারও শেখা দরকার। অপেক্ষা করো। এ নিয়ে একটা লেখা ছাপতে হবে। ও হ্যাঁ, জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা তোমাকে। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

আমার কোনো চিঠিই তুমি ছাপাওনি। হয়তো এটাও ছাপাবে না। সে যা–ই হোক, একটা আবদার আছে আমার, বুঝলে? একটা ফ্যান্টাসি সংখ্যা বের করো প্লিজ! তাহলে আমার মতো যারা ফ্যান্টাসিপ্রেমী, তারা এ বিষয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ পাবে। আর জানো, আমার না ফ্যান্টাসি ধারার গল্প-উপন্যাস, মুভি অনেক ভালো লাগে! আমি যা–ই লিখি, সবই ফ্যান্টাসি হয়ে যায়! কিন্তু আমার এক বন্ধু বলেছে, বাংলাদেশে নাকি ফ্যান্টাসি ধারার লেখক-পাঠক তেমন নেই। এটা কি সত্যি? তুমি বলো?

সব ফ্যান্টাসিপ্রেমীদের পক্ষে
সাবরিনা সাদিয়া
এইচএসসি পরীক্ষার্থী, সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম

কিআ: যা লেখো, তা–ই ফ্যান্টাসি হয়ে যায়! তোমাকেই তো খুঁজছে বাংলাদেশ। তোমার বন্ধু কিন্তু ঠিকই বলেছে। ফ্যান্টাসি ধারার চর্চাটা সেভাবে হয়নি আমাদের দেশে। তবে এখন কিন্তু অনেকেই ফ্যান্টাসি লিখছে। তোমরা যদি শুরু করো, তাহলে চর্চাটা আরও বাড়বে। তোমার ফ্যান্টাসি গল্পের অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থেকো।