হবু কবির চিঠি

অলংকরণ: নাইমুর রহমান

প্রিয় কিআ,

আমি তো শেষ। কী করব বলো, এই লকডাউনে কবি হতে শুরু করেছি। এখন আমি হবু কবি, মানে কবি হব হব করছি। এখনো হতে পারিনি। একটা উদাহরণ দিচ্ছি, তাহলেই বুঝতে পারবে আমার অবস্থা। আমি তোমাকে আমার বন্ধুর সঙ্গে কীভাবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি দেখো—

এটি একটি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন
আমাকে দিয়েছিল আমার এক কাজিন
এটার নাম হলো কিশোর আলো
ছড়ায় সে জ্ঞানের আলো
এর বিশেষত্বটা কি জানো?
হাজার রকম গল্প কমিকস
আর বিনোদন দিয়ে সাজানো
তোমাকে দিলাম এবার ম্যাগাজিনটা, পড়ো।
পড়ার পর নিশ্চিত বলবে
আমার পৃথিবী অনেক বড়।

তো, এই হলো আমার অবস্থা। ভলো থেকো কিআ।

আবদুল্লাহ আল মাসুম
অষ্টম শ্রেণি, বায়তুশ শরফ আদর্শ মাদ্রাসা, কক্সবাজার

কিআ: একি! বিশাল কবিতা দেখি! হবু কবির কবিতাই এত ভালো! কবি হলে পড়ে নিয়মিত ছাপতেই পারে কিশোর আলো! আরও লেখো। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

আমি কি তোমাকে গল্প বা ‘আমরা সবাই রাজা’র লেখা পাঠাতে পারি?

রিফাহ্ নানজীবা চৌধুরী
সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কিআ: অবশ্যই। তোমাদের জন্যই তো ‘আমরা সবাই রাজা’ বিভাগটি। দ্রুত পাঠাও।

প্রিয় কিআ,

লকডাউনে বাসায় বসে অনেকগুলো অ্যানিমে দেখে ফেলেছি। দেখে এত ভালো লেগছে যে অ্যানিমে থিমের কয়েকটা মাস্কও বানিয়ে ফেলেছি। এ বছর আমাদের (তোমার আর আমার জন্মদিন একই মাসে) জন্মদিনে একটা অ্যানিমে সংখ্যা বের করো।

তাবিতা বিনতে রফিক
একাদশ শ্রেণি, সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া

কিআ: বাহ! দারুণ তো মাস্কগুলো! খুব সুন্দর হয়েছে। অ্যানিমে নিয়ে আমরা নিয়মিতই লেখা ছাপি। আরও ছাপব, তবে কিছু কারণে আস্ত একটা সংখ্যা করা হয়তো সম্ভব হবে না। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

আমি চাই, ‘কীভাবে অলসতা দূর করা যায়’, তা নিয়ে একটা ফিচার ছাপবে তুমি। আমি এতই অলস যে মাঝেমধ্যে ভাত খেতেও ইচ্ছা করে না। তোমাকে চিঠি লিখতে গিয়েও মনে হয় পরে লিখব, এখনো তো অনেক সময় আছে। কিন্তু সেই চিঠি আর লেখাই হয় না। আর দুঃখের বিষয় হলো, ১ বছর ২ মাস ধরে আমার কাছের বন্ধুদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। ওদের ঠিকানাও জানি না যে চিঠি লিখব। ওরা কেউ কিআও পড়ে না যে তোমার মাধ্যমে কিছু লিখব। তাই এই সময়ে তুমিই আমার বন্ধু। ধন্যবাদ কিআ। আমরা তোমাকে অনেক ভালোবাসি।

নুসরাত ফারাবি
পঞ্চম শ্রেণি, রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, রংপুর

কিআ: ধন্যবাদ ফারাবি। অলসতা দূর করা নিয়ে তো লিখতেই চাই। কিন্তু আমরাও এতই অলস যে...! দেখি, এবার তোমার জন্য গা–ঝাড়া দিয়ে উঠে বসে কিছু লেখা যায় কি না! কিন্তু ছাপলে তুমি পড়বে, তার নিশ্চয়তা কী? দেখা গেল আলসেমি করে ‘পরে পড়ব’ ভেবে আর পড়লেই না! তবে এ বিষয়ে ‘পরে করব’ শিরোনামে একটা লেখা কিন্তু আমরা ছেপেছিলাম। এ বছরের এপ্রিল সংখ্যার সেই লেখাটা পড়ে দেখতে পারো। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

মে মাসের সংখ্যাটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। সত্যজিৎ রায়ের বিভিন্ন গল্প আর তাঁর সম্পর্কে এত কিছু জেনে তাঁর লেখা গল্প পড়ার খুব ইচ্ছা হলো। তাই একটা ফেলুদা সমগ্র ডাউনলোড করে ফেললাম। সত্যিই তাঁর গল্পগুলো অনেক ভালো লাগল (আমি আগে কখনো তাঁর লেখা কোনো বই পড়িনি)। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। আর তোমার কাছে আমার একটা আবদার থাকল, তুমি ডিজনি প্রিন্সেসদের নিয়ে একটা ফিচার ছাপাও প্লিজ। আমার ডিজনি প্রিন্সেসদের নিয়ে অনেক আগ্রহ।

নাহনুমা নূরাইন
সপ্তম শ্রেণি, যশোর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, যশোর

কিআ: ধন্যবাদ নূরাইন। শুধু ফেলুদা নয়, সত্যজিৎ রায়ের ছোটগল্পগুলোও পড়ে ফেলো। ভালো লাগবে। ভালো থেকো।