একজন ভালো মানুষ হওয়া অনেক জরুরি

প্রিয় মনোবন্ধু,

আমার সমস্যাটা অন্য সবার মতো নয়। একটু বিচিত্র। আমি ফুটবল খেলতে খুব ভালোবাসি এবং মোটামুটি ভালোই খেলি। আমার স্বপ্ন হলো, আমি ফুটবল খেলে দেশের জন্য কিছু করতে চাই। কিন্তু আমার মা–বাবা তা চান না। তাঁরা আমাকে খেলাধুলা না করে ডাক্তার–ইঞ্জিনিয়ার বানানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন, যাতে আমি আগ্রহী নই। আবার পড়াশোনাতেও আমি খুব বেশি খারাপ নই। গত বার্ষিক পরীক্ষায়ও অষ্টম হয়েছি। পড়াশোনা করে কি কেউ খেলাধুলা করতে পারে না? তোমার পরামর্শ চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বাংলাদেশ

উত্তর: পড়াশোনা আর খেলাধুলার মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। বিশ্বের বহু নামী ফুটবলার আর ক্রিকেটার রয়েছেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ ডিগ্রিধারী। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও খেলোয়াড়ের সংখ্যাও কম নয়। অনিল কুম্বলে একজন ইঞ্জিনিয়ার, রাহুল দ্রাবিড় একজন উচ্চ ডিগ্রিধারী, সুতরাং তাঁরা পড়ালেখা করেও জগদ্বিখ্যাত ক্রিকেটার হয়েছেন। তাই ক্রিকেটার হতে হলে পড়ালেখা ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অবশ্যই পড়ালেখা করে খেলোয়াড় হওয়া যায়। তবে যেহেতু তুমি এখন স্কুলে পড়ছ, তোমার মূল লক্ষ্য হবে এখন পড়ালেখা করা, আর খেলাধুলা অবশ্যই চলবে। মা–বাবাকে বুঝিয়ে বলবে, আমাদের লেখাটা দেখাবে। তাঁদের বুঝতে হবে যে খেলা কিন্তু একটা অনেক বড় ক্যারিয়ার। তুমি যদি সত্যি সত্যি খেলোয়াড় হতে চাও, তাহলে খেলা নিয়েও কিন্তু পড়তে হবে।

ডাক্তার–ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার চেয়ে একজন ভালো মানুষ হওয়া অনেক জরুরি। আর ভালো মানুষেরা তার পেশা আর কাজকে সব সময় ভালোবাসে। তুমি বড় হয়ে যা হতে চাও, সেদিকে লক্ষ্য স্থির রাখো আর পড়ালেখা তোমাকে সেই লক্ষ্যেই নিয়ে যাবে।

এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - ‘মনোবন্ধু’, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।