জেফ বেজোসের ‘ওয়ান আওয়ার রুল’: সকালে নিজের জন্য এক ঘণ্টা

জেফ বেজোসছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

সকালে ঘুম থেকে জেগে তোমার প্রথম কাজ কী? প্রথমেই কি তুমি ফোন হাতে নাও? শুরু করো স্ক্রলিং? ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, নাকি তুমি ঘুমিয়ে যাওয়ার পর কী ঘটল, সেটা খুঁজে দেখো?

অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস কিন্তু দিনের প্রথম ঘণ্টাটা অন্যভাবে কাটান। তিনি বলেন, এই সময়টাকে ‘ওয়ান আওয়ার রুল’ বা এক ঘণ্টার নিয়ম হিসেবে মানা উচিত। এই এক ঘণ্টায় থাকবে না কোনো ফোন, থাকবে না কাজের কোনো চাপ। ফোনের নোটিফিকেশনও বন্ধ করে রাখা হবে।

জেফ বেজোসের মতে, সকালে মস্তিষ্ক থাকে সবচেয়ে চাঙা ও সৃজনশীল। তাই তিনি দিন শুরু করেন ধীরে। কফি বানান, একটু পড়েন, চিন্তাভাবনা করেন, নতুন কিছু শেখেন। এই সময়টাকে তিনি বলেন ‘পাটারিং টাইম’, মানে নিজের সঙ্গে কাটানো নিরিবিলি সময়। যে সময়ে কোনো চাপ নেই, তাড়া নেই।

বিজ্ঞানও বলছে, সকালে মস্তিষ্ক সবচেয়ে সক্রিয় থাকে। নতুন কিছু শেখার জন্য এই সময়টা বেশ উপযোগী। যদি এই সময়টুকু আমরা ফোনে কাটিয়ে দিই, তাহলে মনোযোগ কমে। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। এমনকি মনে রাখার ক্ষমতাও দুর্বল হয়।

আরও পড়ুন

এই ধারণা থেকেই জনপ্রিয় হয়েছে একটি বিশেষ অ্যাপ—ব্লিংকিস্ট (Blinkist)। এখানে দারুণ সব নন–ফিকশন বইয়ের মূল বক্তব্য ১৫ মিনিটে পড়ে বা শুনে ফেলা যায়। সারা পৃথিবীতে এখন ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন। ব্যবহারকারীদের মধ্যে আছেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুকও!

ব্লিংকিস্ট অ্যাপটি কেউ সকালে হাঁটতে হাঁটতে ব্যবহার করেন। কেউবা নাশতার টেবিলে বসে বইয়ের সারসংক্ষেপ শোনেন। এভাবে একেক দিন একেক বইয়ের মূলভাবনা জেনে নেওয়া যায়। এতে নতুন কিছু শেখা হয়, মনও ফ্রেশ থাকে।

আরও পড়ুন

অ্যাপটি তৈরি করেছেন জার্মানির কয়েকজন তরুণ—হলগার, টবি, নিকোলাস আর সেবাস্টিয়ান। তাঁদের লক্ষ্য ছিল এমন কিছু বানানো, যা সত্যিই মানুষের জীবনে জ্ঞান ও শেখার আনন্দ যোগ করবে। এখন ব্লিংকিস্ট অ্যাপল, গুগল, এমনকি জাতিসংঘের কাছ থেকেও পুরস্কার পেয়েছে!

জেফ বেজোস বলেন, ‘দিনের শুরুটা কেমন হবে, তা-ই ঠিক করে দেয় সারা দিন কেমন কাটবে।’

তাহলে এবার ঠিক করো, দিনের প্রথম ঘণ্টাটা তুমি কীভাবে কাটাবে? ফোনে স্ক্রল করবে, নাকি নিজের মস্তিষ্ককে নতুন কোনো আইডিয়ার জগতে নিয়ে যাবে?

সূত্র: মিডিয়াম ব্লগ

আরও পড়ুন