অতিমানবীয় ভূত, অদ্ভুতুড়ে মানুষ এবং অন্যান্য

ভূতের গল্প শুনে যেমন অনেকের রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা হয়, তেমনি হালকা চালে লেখা ভূতের গল্প পড়ে পাওয়া যায় আনন্দ। গোঁসাইবাগানের ভূত এমনই একটি উপন্যাস। ভুতুড়ে কাহিনির সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চার আর মজাদার কাণ্ডকারখানার মিশেলে এটি হয়ে উঠেছে ভূতের গল্পের থেকেও বেশি কিছু; দারুণ একটি কিশোর উপন্যাস। কাহিনির সূত্রপাত বুরুন নামের এক কিশোরের বার্ষিক পরীক্ষায় অঙ্কে ১৩ পাওয়া থেকে। একে তো এমন ফল, তার সঙ্গে আবার আজব শাস্তির পদ্ধতিতে বেজায় মন খারাপ হয় বুরুনের। এমনকি ভূতের মুখোমুখি হয়েও ভয় পাওয়ার মতো মনের অবস্থা থাকে না। ভয় দেখাতে না পেরে উল্টো বিপাকে পড়ে যায় ভূত। তারপর থেকে ওই ভূতের বদৌলতে বুরুনের সঙ্গে ঘটতে থাকে নানা অবিশ্বাস্য ঘটনা। কিন্তু এই ঘোর লাগানো পরিবেশে বেরসিকের মতো আবির্ভূত হয় হাবু নামের এক অদ্ভুত চরিত্র, যার কাছে ভূতরা হয়ে যায় ভৃত্য। সেখান থেকেই শুরু হয় সংকট, আর তা মোকাবিলা করতে এক টানটান অভিযান। তা সবিস্তারে জানতে হলে পড়ে ফেলতে পারো জনপ্রিয় লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অদ্ভুতুড়ে কিন্তু অনবদ্য এই উপন্যাস। রসে টইটম্বুর এক একটা লাইন শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি বড়দের‌ও জোগাবে ভাবনার খোরাক।

লেখক: শিক্ষার্থী, শুভেচ্ছা প্রিপারেটরি স্কুল, মাগুরা