আমার কোয়ারেন্টিন

কলেজে ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। হঠাৎ একদিন পরীক্ষা দিয়ে এসে শুনি সব স্কুল–কলেজ বন্ধ। এত খুশি লেগেছিল তখন! খুশির স্রোতে প্রথম কদিন কিছুই করা হয়নি। তারপর আস্তে আস্তে বুঝলাম যে অনেক লম্বা একটা ছুটি পাওয়া গেছে। সুতরাং প্ল্যান করে ফেললাম কী কী করা হবে এই ছুটিতে। ঘরে অনেকগুলো গল্পের বই জমানো ছিল। সময়ের অভাবে পড়া হচ্ছিল না। একটা একটা করে পড়া শুরু করলাম। পড়তে পড়তে বোরিং লাগলে ‘১০১টি ছবি, যা জীবনে না দেখলেই নয়’—এমন একটা লিস্ট থেকে বাছাই করে মুভি দেখতাম। স্কিল বাড়ানোর জন্য ইউটিউব দেখে ইলাস্ট্রেটর, ফটোশপ ও ভিডিও এডিটিং শেখা শুরু করলাম। গল্পের বইগুলো থেকে ধুলাবালু ঝাড়ার সময় পাঁচ-ছয় বছর আগের জমানো কিছু কিশোর আলো পেলাম। তখন ফোন ছিল না, ফেসবুক ছিল না, এই কিশোর আলোই ছিল অবসরের বন্ধু। যেহেতু অনেক আগের, তাই এগুলো আবার শুরু করলাম। পড়তে পড়তে হারিয়ে গেলাম সেই সুন্দর কৈশোরে।