আমি কোনো কাজেই এককভাবে মনোনিবেশ করতে পারছি না

আমার মা-বাবাসহ সবাই আমাকে সব সময়ই কেবল পড়ালেখাই করতে বলে। কিন্তু আমার মাথায় একসঙ্গে অনেক চিন্তা আসে। যেমন ধরো, যদি পড়তে বসি, তাহলে ইচ্ছে হয় যে একটু ছবি এঁকে নিই। আবার ছবি আঁকতে শুরু করলে মনে হয় বান্ধবীদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলার কথা। তাই, আমি কোনো কাজেই এককভাবে মনোনিবেশ করতে পারছি না। আবার ইদানীং শুধু কম্পিউটারে গেমই খেলে যাচ্ছি। আমি চাইলেও কেন যেন এটা বন্ধ করতে পারছি না। এখন আমার ঠিক কী করা উচিত?

প্রিয়াংকা

উত্তর: মা-বাবার কাজই তো তোমাকে লেখাপড়ায় উৎসাহিত করা এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। তুমি লিখেছ, অনেক চিন্তা তোমার মাথায় ঘুরে বেড়ায়। বোঝা গেল না চিন্তার মাত্রাটা কেমন। এটুকু বুঝতে পেরেছি যে তুমি মনোযোগকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছ না। তুমি আরও লিখেছ, তুমি কম্পিউটারে গেম খেলছ। কতটা সময় তুমি গেম খেলো জানলে ভালো হতো। দীর্ঘ সময় গেমের রাজ্যে বাস করলে একধরনের আসক্তি তৈরি হয়। আমরা নিজের অজান্তেই এর শিকার হয়ে যাই। তোমার উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তুমি এই অনিয়ন্ত্রিত চিন্তা ও মনোযোগহীনতার বলয় থেকে বেরোতে চাইছ। তোমার ইচ্ছাশক্তিই পারবে তোমাকে ইতিবাচকভাবে বদলাতে। আয়নায় নিজের চোখে চোখ রেখে বলো, আমি বদলাব। আমি সময়ব্যবস্থাপনা ঠিক রেখে একটা রুটিন করব। সেই রুটিনে পাঠ্যবই গুরুত্ব পাবে। সেই সঙ্গে গল্পের বই, খেলা, ছবি আঁকা, ব্যায়াম থাকবে। বারবার নিজেকে বলো, যা কিছু শুরু করব, ভালোভাবে করব এবং শেষ করব।

এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - মনোবন্ধু, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।