হিমছড়ি, ইনানি, প্যাঁচার দ্বীপ ও কক্সবাজার

স্থান: কক্সবাজার | ধরন: প্রাকৃতিক, অ্যাডভেঞ্চার

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে ঘুরে আসার জন্য এই সময়টাই সবচেয়ে আদর্শ। সারা দিনের মিষ্টি রোদ, সমুদ্রে ঝাঁপাঝাঁপি আর রাতের হালকা ঠান্ডায় বালুময় সাগরে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। এখানে বাবা-মা, ভাইবোন নিয়ে আরাম করে কয়েক দিন বেরিয়ে আসা যেতে পারে। এখানে সুগন্ধা এবং লাবণি সৈকত সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। সন্ধের পরে সেখানকার ঝিনুক মার্কেটে ঘুরে দেখতে পারো। এ ছাড়া কাছেই রয়েছে বার্মিজ মার্কেট, সেখানে পাওয়া যাবে মিয়ানমার থেকে আনা বিখ্যাত আচার। তবে সেগুলো মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয় কিন্তু। কক্সবাজার থেকে একটু দূরেই রয়েছে ‘পান’-এর জন্য বিখ্যাত মহেশখালী দ্বীপ। এখানে আছে বিখ্যাত আদিনাথ মন্দির, হাতে একটু সময় থাকলে ছবির মতো মহেশখালী দ্বীপ ঘুরে আসা যেতে পারে। এ ছাড়া কক্সবাজারের কাছেই রয়েছে ‘হিমছড়ি’ ঝরনা এবং ইনানি সৈকত। ইনানি এখানকার একমাত্র প্রবাল সৈকত। অনেকেই এখানে সূর্যাস্ত দেখার জন্য ছুটে আসে। ফেরার পথে কিছুক্ষণের জন্য ‘প্যাঁচার দ্বীপেও’ চোখ বুলিয়ে আসতে পারো।

সাঁতার না জানলে সমুদ্রের বেশি পানিতে নামা উচিত নয়। সব সময় লাইফজ্যাকেট সঙ্গে নিয়ে পানিতে নামতে হবে, এবং কখনোই ভাটা চলাকালীন পানিতে নামা যাবে না। সাগরপাড়ে এবং বালুকাবেলায় প্লাস্টিকসহ কোনো ধরনের ময়লা-আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে।

(কিশোর আলোর জানুয়ারি ২০১৫ সংখ্যায় প্রকাশিত)