কোনো কাজেই মন দিতে পারি না

অলংকরণ: রাকিব রাজ্জাক

আমার ইদানীং নানা বিষয় নিয়ে কত রকমের যে ভাবনাচিন্তা আসে। যেমন পড়তে বসলে আমি কার্টুন নিয়ে ভাবি, খেতে বসলে গল্পের বই নিয়ে ভাবি, আবার ঘুমাতে গেলে সারা দিনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাবি। যার ফলে কোনো কাজেই মন দিতে পারি না। এ নিয়ে বেশ হতাশ ও অস্থির থাকি।

মুকাররমা আবতাহী

উত্তর: মনে হচ্ছে তুমি অসচেতনভাবেই বর্তমানে থাকো না। ইংরেজিতে একটা শব্দ আছে ‘মাইন্ডফুলনেস’ অর্থাৎ বর্তমানে থাকা। সচেতনভাবে পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে ব্যবহার করে বর্তমান মুহূর্তে থাকতে পারা। যখন তুমি কিছু খাও, অনুভব করো এর স্বাদ কেমন?

এটা মিষ্টি নাকি টক? শক্ত না নরম? এর গন্ধ কেমন? ধরো, তুমি যখন রাস্তা পার হও ডানে-বাঁয়ে দেখে সাবধানে রাস্তা পার হও তা-ই না? আবার ধরো, তুমি রিকশায় চড়ে কোথাও বেড়াতে বের হয়েছ, চারপাশকে নিবড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করো। রাস্তাটা মসৃণ নাকি ভাঙাচোরা?

চলতে চলতে চারপাশ দেখতে পারা—যেমন গাছগুলোর আকৃতি কেমন, কোন গাছের নাম কী?

পাতাগুলো দেখতে কেমন? ফুলগুলো কী কী রঙের? কোন পাখির ডাক কেমন? সব সময় সচেতনভাবে থাকা। ধ্যানের মাধ্যমেও এ অনুশীলন সম্ভব। কল্পনার আকাশে ইচ্ছেঘুড়িটা ওড়াতে কোনো মানা নেই, তবে লাটাইটা ধরে রাখতে হবে নিজ হাতে। নিজেকেই নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

মনকে বলতে হবে ‘আমি পারব’। এরপরও তুমি তোমার দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছেন, এমন অভিজ্ঞ কাউন্সেলরদের সাহায্য নিতে পারো।

এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - মনোবন্ধু, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।