টেলিফোনে ফিস ফিস

গাড়ি চালাতে গেলে ভালোভাবে ড্রাইভিং শিখতে হয়, অভ্যাস করতে হয় কিছু অবশ্য পালনীয় নিয়মকানুন। তবেই মেলে গাড়ি চালানোর লাইসেন্স। নইলে রাস্তায় প্রতি পদে ঘটত দুর্ঘটনা। তেমনি মুঠোফোনে কথা বলতে লাইসেন্স না লাগলেও কিছু নিয়ম আছে। সেগুলো পালন করাই ভদ্রতা। নিয়মগুলো মানলে তাতে সবারই ভালো হয়। চলো মুঠোফোনের সাধারণ কিছু আদবকেতা জেনে নিই।

সামনের মানুষটিকে গুরুত্ব দাও

কোনো দোকানের ক্যাশ কাউন্টারে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনের কল ধরা উচিত নয়। তোমার জন্য ব্যস্ত সেলসম্যানের হাতে অঢেল সময় নেই। তাকিয়ে দেখো, তোমার কারণেই পেছনে বিশাল জ্যাম বেঁধে গেছে। বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছ, হঠাত্ ফোন এল। এসব ক্ষেত্রে অনেকেই সামনের বন্ধুকে বাদ দিয়ে মুঠোফোনে দীর্ঘ সময় কথা বলতে থাকে। তাতে তোমার সামনে বসে থাকা বন্ধুটি যে ভীষণ বিরক্ত হচ্ছে, সেটাও অনেকে খেয়াল করে না। এসব সময়ে সম্ভব হলে ফোন না ধরাই ভালো। খুব জরুরি হলে মুঠোফোনে জানিয়ে দাও, তুমি পরে যোগাযোগ করবে। আবার বাবা-মা ও বড়দের সঙ্গে কথা বলতে গেলেও একই নিয়ম পালন করা উচিত। জরুরি ক্ষেত্রে বড়দের অনুমতি নিয়ে ফোন ধরাই ভালো।

রাস্তায় কোনো ফোন নয়

অনেকেই আছে উঠতে, বসতে, হাঁটতে কিংবা শুয়ে শুয়ে মুঠোফোনের পেছনে লেগে থাকে। এ সময় তার চারপাশের কথা বেমালুম ভুলে যায়। কিন্তু রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে মুঠোফোনে মেসেজ লেখা, পড়া কিংবা কল করা ও ধরা উচিত নয়। কাজটি খুবই বিপজ্জনক। মুঠোফোনে পুরো মনোযোগ থাকলে রাস্তায় কেউই সতর্ক থাকে না। তাই দুর্ঘটনা ঘটতেও সময় লাগে না। এ ক্ষেত্রে গত বছরে যুক্তরাজ্যের একটা ঘটনার কথা বলা যেতে পারে। এক এফএম রেডিওর সংবাদপাঠিকা লরা সেদিন বার্মিংহামের রাস্তায় হনহন করে হাঁটতে হাঁটতেই বন্ধুকে এসএমএস লিখছিলেন। কিছুক্ষণ পরই নিজেকে রাস্তার পাশের বরফে জমাটবাঁধা নর্দমায় আবিষ্কার করেন লরা। সারা গায়ে-মুখে নোংরায় ভরা। পুরো ঘটনা এক সিসি ক্যামেরায়ও ধরা পড়ে। মজার এ ভিডিও ইউটিউবে তোলার পর এ পর্যন্ত ৫০ হাজার দর্শক দেখে ফেলেছে। তাই সময় থাকতেই সাবধান!

কথা বলা সম্ভব হলেই কেবল ফোন ধরো

অনেকেই প্রচণ্ড কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও মুঠোফোনে আসা কল রিসিভ করে। এরপর দুটিই একসঙ্গে চালাতে চেষ্টা করে তারা। তাতে তার না হয় কোনো কাজ, না হয় ফোনে কথা বলা। ফোনের ওপাশের মানুষটিও বিরক্ত হয়, সেটা বোধ হয় বোঝেও না তারা। তাই কাজের ব্যস্ততায় কথা বলা সম্ভব না হলে ফোন রিসিভ না করাই ভালো। তার চেয়ে অটো ভয়েস মেইল চালু রাখা উচিত। ধরা যাক, তুমি কারও সঙ্গে জরুরি কোনো কথা বলছ। হঠাত্ ফোন আসায় রিসিভ করলে। তারপর ফোনে বললে, ‘একটু ধরুন...।’ তারপর আবার সামনের লোকটার সঙ্গে কথা শুরু করলে। তারপর আবার ফোনে একটু কথা বলে আবারও তাকে একটু অপেক্ষা করতে বলে আবারও সামনের লোকটার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করলে। দৃশ্যটা একবার চিন্তা করে দেখো তো!

কথা একটু আস্তে

বাস-ট্রেনে বা রাস্তাঘাটে, দোকানে কিংবা ভিড়ের মধ্যে থাকা অবস্থায় ফোন আসতেই পারে। তার মধ্যে অনেকগুলো জরুরিও হতেই পারে। তাই ফোন রিসিভ করার প্রয়োজন হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এমন স্বরে কথা বলা, যাতে পাশে থাকা অন্য কারও অসুবিধা না হয়। তাই এসব ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব নিচু স্বরে কথা বলা উচিত। তাতে কাউকে বিরক্ত না করেই চট করে জরুরি আলাপ সেরে ফেলা যায়।

ক্লাসে ফোন নয়

ক্লাস, অফিস, মিটিং, হাসপাতালে কিংবা ধর্মীয় কাজের সময় মুঠোফোন ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিত। ক্লাসে মুঠোফোন পুরোপুরি বন্ধ রাখা উচিত। আবার অনেক অফিসে বা হাসপাতালের ভেতরে মুঠোফোনে কথা বলা নিষেধ থাকে। তাই এসব জায়গায় ফোন না ধরাই ভালো। খুব বেশি প্রয়োজন দেখা দিলে বাইরে এসে ধরা উচিত। আবার ধর্মীয় কাজের সময় অন্তত মুঠোফোনের রিং টোন বন্ধ রাখা উচিত।

কথা একটু আস্তে

বাস-ট্রেনে বা রাস্তাঘাটে, দোকানে কিংবা ভিড়ের মধ্যে থাকা অবস্থায় ফোন আসতেই পারে। তার মধ্যে অনেকগুলো জরুরিও হতেই পারে। তাই ফোন রিসিভ করার প্রয়োজন হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এমন স্বরে কথা বলা, যাতে পাশে থাকা অন্য কারও অসুবিধা না হয়। তাই এসব ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব নিচু স্বরে কথা বলা উচিত। তাতে কাউকে বিরক্ত না করেই চট করে জরুরি আলাপ সেরে ফেলা যায়।

ক্লাসে ফোন নয়

ক্লাস, অফিস, মিটিং, হাসপাতালে কিংবা ধর্মীয় কাজের সময় মুঠোফোন ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিত। ক্লাসে মুঠোফোন পুরোপুরি বন্ধ রাখা উচিত। আবার অনেক অফিসে বা হাসপাতালের ভেতরে মুঠোফোনে কথা বলা নিষেধ থাকে। তাই এসব জায়গায় ফোন না ধরাই ভালো। খুব বেশি প্রয়োজন দেখা দিলে বাইরে এসে ধরা উচিত। আবার ধর্মীয় কাজের সময় অন্তত মুঠোফোনের রিং টোন বন্ধ রাখা উচিত।