তুমি কতটা অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়

চাঁদের পাহাড়ের শংকরকে মনে আছে? কিংবা জুল ভার্নের ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাসকে? অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় এমন মুখ যে শুধু গল্পের বইয়ে খুঁজে পাওয়া যায়, তা কিন্তু নয়। হয়তো তুমিই অ্যাডভেঞ্চার বলতে পাগল! তোমাকে নিয়ে অ্যাডভেঞ্চার্স অব হাকলবেরি ফিন-এর মতো বই লিখে ফেলা যায় কি না, সেই গবেষণা পরে হবে। আগে প্রশ্নগুলোর ঝটপট উত্তর দাও আর স্কোর মিলিয়ে দেখে নাও তুমি কতটা অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়!

১. নতুন এক গ্রহে নাসা দুজন লোক পাঠাবে। এর আগে কোনো মানুষ পা রাখেনি সেখানে। তোমাকে আমন্ত্রণ জানানো হলো এই দুজনের একজন হওয়ার জন্য। তোমার প্রতিক্রিয়া—

ক. কয়টার ট্রেন? থুক্কু রকেট? মানে, পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান দুজনের একজন আমি। এক মুহূর্ত অপেক্ষা করতে পারছি না নতুন এই অভিজ্ঞতার জন্য!
খ. যেতে পারি, তবে পৃথিবীতে আবার ফিরে আসব এমন কোনো নিশ্চয়তা দিলে।
গ. কই না কই নিয়ে যাবে, সেখানে আবার এলিয়েন থাকলে? থাক বাবা, আমার এমন অভিজ্ঞতার দরকার নেই।

২. ‘মাথায় পরেছি সাদা ক্যাপ, হাতে আছে অচেনা এক শহরের ম্যাপ!’—তোমাকে যেকোনো একটি স্থান ঘুরতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলো। কী রকম স্থান বেছে নেবে?

ক. ইয়ে না মানে, একা ঘুরতে হবে? চেনা নাই জানা নাই, এমন জায়গায় একা ঘুরব কীভাবে?
খ. সমুদ্রে যাব। সমুদ্রের বিশালতা দেখে মনে প্রশান্তি কাজ করে।
গ. পাহাড় বা জঙ্গল আছে এমন স্থানে যাব। রাতে তাঁবু টানিয়ে থাকব। ভাবতেই অসাধারণ লাগছে।

৩. যে কাজটি করতে তুমি কখনো বিরক্ত হও না—

ক. বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে।
খ. ঘুমাতে!
গ. ভ্রমণ করতে।

৪. দেশের বাইরে ঘোরাঘুরির সবচেয়ে চমৎকার বিষয় হলো—

ক. ঘোরাঘুরির সব বিষয়ই তো চমৎকার। নতুন একটা ভাষা-সংস্কৃতি-খাদ্যাভ্যাস কত কিছু সম্পর্কে জানা যায়। আর কত কিছু শেখা যায়!
খ. স্কুল-কলেজে যেতে হয় না। কদিন পড়ালেখা থেকে দূরে থাকব এটাই সবচেয়ে ভালো দিক।
গ. নতুন একটা অভিজ্ঞতা হবে। সেই সঙ্গে একগাদা ছবি তোলা হবে, যেগুলো বন্ধুদের দেখানো যাবে!

৫. স্কাইডাইভিং হলো বিমান বা এ-জাতীয় কিছু থেকে লাফ দেওয়া। তবে অবশ্যই প্যারাস্যুট বাঁধা অবস্থায়...

ক. আমার উচ্চতাভীতি আছে। কোনো আগ্রহ নেই এ বিষয়ে।
খ. খরচটা অন্য কেউ দিয়ে দিলে আমি রাজি!
গ. থাক থাক, আর বলতে হবে না। আমার ‘বাকেট লিস্ট’-এ আগে থেকেই রয়েছে। কবে যে সুযোগ হবে...

৬. অ্যাডভেঞ্চার বলে যদি জীবনে কিছু না থাকত?

ক. অ্যাডভেঞ্চার ছাড়া জীবন? আমি তো ভাবতেও পারছি না! তাহলে ওটাকে আর জীবন বলা যেত না।
খ. আমার জীবনের কথা বলছ?
গ. খুবই একঘেয়ে হতো। বেয়ার গ্রিলস বলে লোকটা বেকার হয়ে যেত!

৭. তোমার এক বন্ধু, সবকিছুর গল্প এমনভাবে করে, যেন কোনো একটা অ্যাডভেঞ্চারের কথা বলছে। ধরো, তোমাকে নিয়ে কাছাকাছি কোথাও ঘুরতে যাবে সে, সেটার বর্ণনা শুনে মনে হবে যেন অ্যামাজনে যাচ্ছে দুই সপ্তাহের জন্য। এ রকম বন্ধুর প্রতি তোমার মনোভাব?

ক. ওর গল্প শুনে আমি বিরক্ত হয়ে যাই। সব সময় এত উদ্ভট গল্প করে...
খ. আমার বন্ধু হবে কেন? এটা তো আমিই!
গ. কোনো কোনো বন্ধু তো থাকেই এমন। যারা এমন অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, তারা আমার সবচেয়ে প্রিয়।

৮. সলোমনের সেই গুপ্তধনের সন্ধান তুমি পেয়ে গেলে। কিন্তু সেখানে পৌঁছাতে হলে অনেক ঝুঁকি আর বিপদের মুখোমুখি হতে হবে তোমাকে। তুমি যা করবে—

ক. গুপ্তধন? গুপ্তধন যেখানে আমি আছি সেখানে! আমি রাজি।
খ. বিপদ? ঝুঁকি? আমি সব সময় বুঝেশুনে এগোই। যদি জানিই যে বিপদ আছে, তাহলে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
গ. গুপ্তধন বড় কথা নয়। অ্যাডভেঞ্চারটাই আসল কথা। বেরিয়ে পড়ব সে জন্যই।

৯. ঘুম থেকে উঠে দেখলে তুমি টিনটিন হয়ে গেছ। কী করবে?

ক. আবার ঘুমিয়ে পড়ব! দুঃস্বপ্ন কেটে গেলে উঠব।
খ. টিনটিনের কমিক পড়তেই ভালো লাগে। হয়ে গেলে কেমন লাগবে বুঝতে পারছি না!
গ. আমি তো টিনটিনই ভাবি নিজেকে। নতুন করে আর কী হব?

১০. অল্প কজন বন্ধু, অন্ধকার রাত। গন্তব্য সুন্দরবন...

ক. নতুন একটা অ্যাডভেঞ্চারের গন্ধ পাচ্ছি!
খ. বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি মানেই আনন্দ। অ্যাডভেঞ্চারের সন্ধান পাব কি না জানি না, তবে আনন্দ যে হবে সেটা নিশ্চিত।
গ. আর অ্যাডভেঞ্চার! বাসা থেকে মুদিদোকানে যেতেও আমার দুবার অনুমতি নিতে হয়। আমাকে বাসা থেকে যেতে দেবে না।

নম্বর

১. ক. ১০ খ. ০৫ গ. ০০
২. ক. ০০ খ. ০৫ গ. ১০
৩. ক. ০৫ খ. ০০ গ. ১০
৪. ক. ১০ খ. ০০ গ. ০৫
৫. ক. ০০ খ. ০৫ গ. ১০
৬. ক. ১০ খ. ০০ গ. ০৫
৭. ক. ০০ খ. ১০ গ. ০৫
৮. ক. ০৫ খ. ০০ গ. ১০
৯. ক. ০০ খ. ০৫ গ. ১০
১০. ক. ১০ খ. ০৫ গ. ০০

তুমি যেখানে দাঁড়িয়ে

০-৪০: অ্যাডভেঞ্চারের বিপরীত শব্দ কী বলো তো? তুমি! সবাইকে যে অ্যাডভেঞ্চার করে বেড়াতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। কিংবা টিনটিনের মতো দুঃসাহসী অভিযাত্রী হওয়ার ইচ্ছা না-ই থাকতে পারে। কিন্তু একটু-আধটু রোমাঞ্চের অভিজ্ঞতা জীবনকে বৈচিত্র্যময় করার জন্য দরকার আছে। অ্যাডভেঞ্চারের জন্য যে বন-পাহাড় বা জঙ্গলেই যেতে হবে, তা কিন্তু নয়। উৎসুক একটা মন থাকাই যথেষ্ট। মাঝে মাঝে ঘর থেকে দুই পা বের হলেই বুঝবে, জীবনটা মোটেও অত পানসে নয়!

৪৫-৭০: তুমি অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়। ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালোবাসো। এর জন্য তোমার আলাদা প্রস্তুতি থাকে। অনেক সময় ঝুঁকির কথা চিন্তা করে পরিকল্পনা বাতিল করে দাও। আবার অনেক সময় বন্ধুদের কাছে ঘোরাঘুরির গল্প করতে কিংবা ছবি দেখাতেই বেশি ব্যস্ত হয়ে যাও। এমন উদ্দেশ্য নিয়ে কিন্তু অ্যাডভেঞ্চার হয় না। অ্যাডভেঞ্চারের সন্ধান করতে গিয়ে আবার সময়টা উপভোগ করতে ভুলে যেয়ো না যেন।

৭৫-১০০: লোকে বলে, জীবনটাই নাকি একটা অ্যাডভেঞ্চার। তুমি হচ্ছো এই দলের লোক। সবকিছুতেই তুমি অ্যাডভেঞ্চার খুঁজে পাও। আর অ্যাডভেঞ্চারও যেন ধরা দেয় তোমার কাছে। তুমি ঝুঁকি নিতে ভালোবাসো। অনেক সময় সাত-পাঁচ না ভেবেই কাজ করে বসো, সেটা কিন্তু ঠিক না। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় হওয়া বেশ ভালো কথা, তাই বলে ঝুঁকি-বিপদ এসব বিষয়েও বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এ কথা বলাই যায়, তুমি তোমার জীবন বেশ উপভোগ করো।