ফুচকা-বিলাস

অলংকরণ : নাইমুর রহমান
অলংকরণ : নাইমুর রহমান

ঘরে থাকার শুরুর কয়েক দিন ভালোই কেটেছে। কিন্তু আমার তো ফুচকা ছাড়া চলেই না! ফুচকার শোকে প্রায় পাগলই হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ঘর থেকে তো বের হওয়া সম্ভব নয়। তাই ইউটিউব দেখে নিজেই ফুচকা বানানোর উদ্যোগ নিলাম।

প্রথম দিকে যে ফুচকা বানিয়েছি, সেগুলো খেয়ে যে আমার পেট খারাপ হয়নি, সেটাই অনেক। কিন্তু এখন আমার বানানো ফুচকা অনেক মজা হয়। সেদিন তো আম্মুকে বলছিলাম যে আমি একটা ফুচকার দোকান দিলে ব্যবসা কিন্তু মন্দ হবে না।

ফুচকার পাশাপাশি আরও কয়েকটা জিনিসও বানানো শিখেছি। এরপর আবার পেয়ে বসল একঘেয়েমি। তাই ভাবলাম এবার একটু আঁকাআঁকি করা যাক। থ্রিডি পেইন্টিং শিখেছি, গ্যালাক্সি টাইপ ছবিগুলোও আঁকার চেষ্টা করেছি। একটা কবিতাও লিখেছি আমার স্কুল নিয়ে। যদিও আমি এসবে পারদর্শী না। তাও এভাবেই হাসিখুশি দিন কাটছিল।

কিন্তু এই সুখ বেশি দিন টিকল না কপালে। হঠাৎ একদিন স্কুল থেকে একটা মেসেজ এল। সেই একটা মেসেজই আমার সব সুখশান্তি কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কারণ, সেখানে লেখা ছিল আমাদের অনলাইন ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে।

তো আর কী? শুরু হলো স্কুলের নিয়মিত অনলাইন ক্লাস। এখন তো স্কুলে অনলাইন পরীক্ষা নেওয়াও শুরু করেছে। আর শান্তি দিল না!

আরও দুঃখের ব্যাপার, দুই মাস ধরে কিআও ছাপানো হয়নি (মে ও জুন)।

তবে অনলাইন ক্লাসের জন্য একটা জিনিস ভালো। বন্ধুরা সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলেছে। তাই অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি একটু অনলাইন আড্ডাও হয়ে যায় এখন। এভাবেই কাটছে আমার ঘরে থাকার দিনগুলো।

লেখক : শিক্ষার্থী, দশম শ্রেণি, বি এন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম