বাবা-মা কিছুতেই মানতে চান না

আমি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি। আমি অনেক সুন্দর গান গাই। আমার ইচ্ছে বড় হয়ে গায়ক হব। আমার অভিনয় করারও ইচ্ছা আছে। কিন্তু আমার বাবা-মা এসবের ঘোর বিরোধী। কিন্তু আমি হতে চাই! আবার বাবা-মা চান আমি চিকিৎসক হই। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি খুশি মনেই সেটা করব। কারণ, আমি পড়াশোনায় বেশ ভালো। গান আর অভিনয় আমার নিত্যসঙ্গী। আমি কি চিকিৎসকের পাশে এ দুটিকেও আমার পেশা হিসেবে নিতে পারি না? আমার বাবা-মা কিছুতেই মানতে চান না। আমি কী করব?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

পরামর্শ: প্রথমেই তোমাকে অভিনন্দন, তুমি যে খুব সুন্দর গান গাও এ জন্য। গায়ক হওয়ার সঙ্গে চিকিৎসক হওয়ার কোনো বিরোধ নেই। তুমি ইচ্ছা করলে যেকোনোটিকেই পেশা হিসেবে নিতে পারো। আর পড়ালেখার ক্ষেত্রে আমরা বলব, তুমি চিকিৎসাবিজ্ঞানই পড়ো বা সংগীত নিয়েই পড়ো, বিষয়টিকে তোমার ভালোবাসতে হবে। জোর করে পড়া কোনো কিছু তোমার জীবনকে সুন্দর করবে না। তুমি অনেক বিখ্যাত নায়ক, গায়ক, লেখক, নেতা (চে গুয়েভারা, জন কিটস, বনফুল, স্যার আর্থার কোনান ডয়েল, আন্তন চেখভ, সমারসেট মম) পাবে, যাঁরা ডাক্তারি পড়েছেন, কিন্তু তাঁদের চিকিৎসক পরিচয়ের বাইরে অন্য পেশায় তাঁরা সফল হয়েছেন। তুমি মনে রাখবে, যা-ই পড়ো না কেন, ভালো করে মন দিয়ে পড়বে, আনন্দ আর ভালোবাসার সঙ্গে পড়বে। তুমি যা হতে চাও, সেভাবে নিজের চিন্তাটাকে সাজাবে।

ডাক্তারি বা অন্য যেকোনো পড়ালেখার সঙ্গে সঙ্গে তুমি তোমার শখের চর্চাটাকে কখনোই ছাড়বে না। মা-বাবাকে বিখ্যাত ব্যক্তিদের উদাহরণ দেবে এবং যদি পড়ালেখা ঠিকমতো করে দেখাতে পারো, তবে মা-বাবাও আপত্তি করবেন না।

এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - মনোবন্ধু, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।