ম’তে মজা

হুইলচেয়ারে বসে সেন্টু যখন ইবুদের স্কুলে এসে ভর্তি হয়, তখন ক্লাসের সবার মনে প্রশ্ন জাগে, নতুন ছেলেটির পায়ে কী হয়েছিল? স্যারের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও যখন ক্লাসের ছেলেরা সেন্টুর কাছে জানতে চায় যে তার পায়ের এই অবস্থা কীভাবে হলো, তখন সে একেকজনের কাছে একেক গল্প ফেঁদে বসে সে। সেন্টু যে ফিচলে বুদ্ধির ছেলে, সেটা তারা হাড়ে হাড়ে টের পায় পুরো ক্লাস। কিন্তু সেন্টুকে দেখেই ক্লাসের ছেলেরা বুঝতে পারে যে কীভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হয়। ক্লাসের দুষ্টু প্রকৃতির ছেলে বকর যখন সেন্টুকে বিরক্ত করে তখন সেন্টু বকরকে খুব ভালোভাবে শায়েস্তা করে। আস্তে আস্তে ক্লাসের সবার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এমনকি বকরও তার ভালো আচরণের কাছে হার মানে। এই কিশোর উপন্যাসটি ক্লাস এইটে পড়ুয়া কয়েকজন কিশোরকে নিয়ে। স্কুলজীবনের বিভিন্ন আনন্দ, অ্যাডভেঞ্চার আর বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটাই মুহাম্মদ জাফর ইকবালের স’তে সেন্টু বইটিতে ফুটে উঠেছে। যে উপন্যাসের প্রতিনিধিত্ব করে এক প্রতিবন্ধী কিশোর। দারুণ এই উপন্যাসটি সবাই পড়ে ফেলতে পারো। তা ছাড়া এটি এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য খুবই চমৎকার একটি বই। যারা নিজের স্কুল ছেড়ে আর কয়েক দিনের মধ্যে অন্য স্কুল/কলেজে ভর্তি হচ্ছে। যারা স্কুলের মজার মজার দিনগুলোকে খুব মিস করছ, বিশেষত তাদের জন্যই এই বই।

লেখক: শিক্ষার্থী, দীননাথ ইনস্টিটিউশন সাতকাপন সরকারি মডেল হাইস্কুল, হবিগঞ্জ