সবার ভেতর চাপা উত্তেজনা। কে কার আগে হাত তুলবে! কিশোর আলোর এপ্রিল সংখ্যা নিয়ে কুইজ শুরু হয়েছে। বিজয়ীদের জন্য অপেক্ষা করছে পাঁচ বাক্স আইসক্রিম! পুরস্কার লুফে নেওয়ার জন্য সবাই প্রস্তুত।
উত্তেজনাময় এই কুইজের আয়োজন ছিল কিশোর আলোর মাসিক সভায়। এত গরমেও ১৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কিআড্ডা ছিল বেশ সজীব। রহস্য কী? সভায় উপস্থিত কিআ পাঠকদের উৎসাহ। কিশোর আলোর সহকারী সম্পাদক মহিতুল আলমের টুকটাক গল্পে শুরু হয় সভা।
কিআ সম্পাদক আনিসুল হক এবারের সভায় সমকালীন নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি সবাইকে দেন লেখক হওয়ার টিপস। কবিতা লিখতে হলে ভালো মানের কবিতা মুখস্থ থাকা চাই। তাই এক মাসের মধ্যে তিনটি কবিতা মুখস্থ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। অনেকেই গ্রহণ করে এই চ্যালেঞ্জ।
সভায় এরপরই হাজির হন জনপ্রিয় গীতিকার কবির বকুল। পাঠকদের শোনান তাঁর লেখা নানা গানের গল্প। উত্তর দেন কিআ পাঠকদের নানা প্রশ্নের। কিশোর আলোর থিম সংটাও তাঁর লেখা। তাই তাঁর উপস্থিতিতে সভাকক্ষের বড় পর্দায় ভিডিওসহ বাজানো হয় কিশোর আলোর থিম সং। গান নিয়ে নানা আলোচনার একপর্যায়ে পাঠকদের মধ্য থেকে প্রশ্ন আসে, ‘গান শুনব কেন?’ কবির বকুল বলেন, গান প্রাণের খোরাক। অবসরে গান শোনা মানুষের চিন্তা-চেতনাকে প্রশস্ত করে।
কিআর এপ্রিল সংখ্যা নিয়ে কুইজের পর্বটা ছিল বেশ জমজমাট। প্রশ্নের ব্যাপ্তি নভোচারী থেকে শুরু করে বিলুপ্ত ডাইনোসরের প্রজাতি পর্যন্ত। পুরোটা সময় খিলখিল হাসি আর হইচইয়ে মেতে ছিল সভাকক্ষ। কুইজের উত্তর দিয়ে পাঁচজন জিতে নেয় পুরস্কার।
ততক্ষণে ইফতারের সময় হয়ে এসেছে। রমজান মাস উপলক্ষে এ মাসের সভায় ছিল ইফতারের আয়োজন। সবাই মিলে ইফতার শেষে চলে ফটোসেশন। কুইজ বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেভয় আইসক্রিমের সৌজন্যে বাক্সভর্তি আইসক্রিম। তবে খালি হাতে ফেরেনি কেউ। সভায় উপস্থিত সবার জন্যই ছিল সেভয় আইসক্রিম। সন্ধ্যা নেমেছে অনেক্ষণ হয়ে গেছে তখন। এবার আইসক্রিম হাতে হেলেদুলে বিদায় নেওয়ার পালা।