গরুর রচনা, উকিল এবং অন্যান্য

অলংকরণ: শিখা
  • গরুর রচনা লেখার আগে শিক্ষক অনেকগুলো সূত্র ছাত্রদের বুঝিয়ে বললেন। সবাই তা ঠিকমতো বুঝেছে কি না, তা আবার পরখ করে নিচ্ছেন—
    শিক্ষক: আচ্ছা তুমি বলো তো তোমার পায়ের জুতা কী দিয়ে তৈরি হয়?
    ছাত্র: চামড়া দিয়ে স্যার।
    শিক্ষক: চামড়া কোথায় পাওয়া যায়?
    ছাত্র: গরুর গা থেকে।
    শিক্ষক: আচ্ছা, এখন বলো দেখি, কোন সে জীব, যে তোমাদের পায়ের জুতো জোগায়, আবার নানা খাবার জিনিস ও সরবরাহ করে?
    ছাত্র: আমার বাবা, স্যার।

  • উকিল: আচ্ছা, ডাক্তার সাহেব, আপনি কতগুলো মৃত মানুষের ময়নাতদন্ত করেছেন?
    সাক্ষী: সবগুলোই তো মৃত। জীবিত মানুষের ময়নাতদন্তে অনেক ঝামেলা।

  • শতবর্ষী এক বৃদ্ধের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন এক সাংবাদিক।
    তিনি বৃদ্ধকে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনার এই দীর্ঘায়ুর পেছনে গোপন রহস্য কী?’
    বৃদ্ধ খুক খুক করে কাশলেন। তারপর বললেন, ‘এখনই সঠিক বলতে পারছি না। একটা ওষুধ কোম্পানি, একটা অরেঞ্জ জুসের কোম্পানি আর একটা শক্তিবর্ধক বিস্কুট কোম্পানির সঙ্গে দরদাম চলছে। দুদিন পরে আসুন। যে সবচেয়ে বেশি দাম হাঁকাবে, তার নাম বলব!’

  • পুলিশ: তোমাদের বাড়ির মালিক কীভাবে মারা গেলেন? কিছু আন্দাজ করতে পারো?
    কেয়ারটেকার: আমার জানামতে ওনার ভুলে যাওয়া রোগ ছিল, হয়তো ঘুমানোর সময় শ্বাস নিতে ভুলে গিয়েছিলেন?

  • কিছু লোক দোকানে বসে চা খাচ্ছে। পাশ দিয়ে এক বাবা তার ছেলেকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। এমন সময় ছেলেটি জিজ্ঞেস করল: আব্বু, ওরা কী খায়?
    বাবা: চা।
    ছেলে: না আমি চাইতে পারব না, লজ্জা লাগে।