আম্মুর চশমা দেখে আমারও শখ হয়েছিল চশমা পরার। আম্মুকেও বলেছিলাম সেটা। তবে আম্মু বলেছেন, যাদের চোখ স্বাভাবিক, তাদের চশমা পরতে হয় না। এটা নিয়ে মোটামুটি আধা ঘণ্টার লেকচার দিয়ে ফেললেন একদিন। সিদ্ধান্ত নিলাম, কিছুক্ষণের জন্য আম্মুর চশমা চুরি করব। একদিন আম্মু গোসল করতে ঢুকলেন। সেই সময়ই চশমাটা চুরি করলাম আমি। সে সময় হঠাৎ আমার টয়লেট চাপল। তাড়াহুড়ো করে গেলাম টয়লেটে। আসার পর আবিষ্কার করলাম চশমাটা খুঁজে পাচ্ছি না! কপাল আরও খারাপ করার জন্য আম্মু বাথরুম থেকে বেরিয়ে এলেন। আমি আম্মুর সামনে গিয়ে মাথা নিচু করে বললাম, ‘আম্মু, তোমার চশমাটা হারিয়ে ফেলেছি।’ শুনে আম্মু বললেন, ‘আমার চশমা? সেটা তো দেখি তোর পকেটে ঝুলে আছে।’ তখনই খেয়াল হলো, চশমাটা সত্যিই আমার পকেটে! আম্মু বুঝতে পারলেন চশমার প্রতি আমার আগ্রহ।
পরদিনই আম্মু তার পুরোনো চশমাটা আমায় উপহার দিলেন। আমার খুশি আর দেখে কে! ব্যাপক উত্তেজনা নিয়ে চোখে চশমা দিলাম। চশমা পরে দেখি, আমার দৃষ্টিতে কোনো পরিবর্তন হলো না! কোনো কিছু বড় বা ছোট না, সব আগের মতোই। চশমা খুললেও যা, পরলেও তা-ই। ভাবলাম, চশমায় ভূত আছে নাকি রে বাবা! কাচটা খোলার জন্য চশমার ফ্রেমে হাত দিলাম। অবাক কাণ্ড! আঙুল এক দিক দিয়ে ঢুকে আরেক দিক দিয়ে বেরিয়ে গেল! বুঝতে পারলাম, চশমাটায় আসলে কাচই নেই! কাচ ছাড়া চশমা! হায়!