Welcome to our band, ‘Uff gojamil’ (Drum’s sound)
‘....গোঁজামিল, গোঁজামিল, সারাটা জীবন....’ শুরু হলো গানের দলটির থিম সং!
‘উফফ! গোঁজামিল!’
একসঙ্গে কতগুলো হাস্যোজ্জ্বল কিশোরী বলে উঠল। সবাই স্কুল ইউনিফর্ম পরা, স্কুলেরই কেউ হাই বেঞ্চে, কেউবা লো বেঞ্চে বসে অনর্থক কথা বলে খিলখিল করে হাসছে। দূরে বসে আরও কয়েকটি মেয়েও তাদের সেই কার্যকলাপ দেখে হাসছে।
দৃশ্যটি আমার খুবই পরিচিত। কারণ, ওই দল বেঁধে বসে থাকা কিশোরীদের মধ্যে আমি একজন।
‘আমি পরিচয় দিচ্ছি “উফফ! গোঁজামিল” ব্যান্ডের অন্যতম প্রধান ভোকাল নাহনুমা।’ (তালির শব্দ)
‘পরিচয় দিচ্ছি, দলের আরেকজন অন্যতম প্রধান ভোকাল রিদা!’ (তালির শব্দ)
‘পরিচিত হও আরেক ভোকাল অনুভার সঙ্গে’
এ ছাড়া আমাদের ব্যান্ডে রয়েছে সিঁথি ও ঈশার মতো ভোকাল, যারা কিছু গানে আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এরপর আছে আমাদের মিউজিক আর্টিস্ট ও ভোকাল তুলনা।
আমরা আমাদের ব্যান্ডের মিউজিক তৈরি করি একটু বিশেষভাবে। আর তা হলো হাত দিয়ে কিংবা বই-খাতা-বোতল দিয়ে বেঞ্চে বাড়ি দিয়ে দিয়ে।
এ ছাড়া আমাদের ব্যান্ডে রয়েছে এমন এক গায়ক, যে কিনা শুধু ‘মোহ’ গানটি গাওয়ার সময় যোগদান করে। ‘মোহ’ গানের স্পেশাল ভোকাল স্নেহা। রয়েছে আরেকজন অনিয়মিত গায়ক প্রীতু। প্রীতু মাঝেমধ্যে আমাদের এই গানগুলো রেকর্ডও করে থাকে।
আমাদের ব্যান্ডে রয়েছে আরেকজন সদস্য। এমন সদস্য অন্য কোনো দলে নেই আমি নিশ্চিত। আর সে হলো তিতলি। তিতলির বিশেষত্ব হলো সে গানও গায় না, মিউজিকও বাজায় না, কেবল মিটিমিটি হাসে। তারপরও কোনো এক অদ্ভুত কারণে সে আমাদের দলের একজন নিয়মিত সদস্য!
আমাদের এই ৯ জনের বিশেষ গানের দলটি প্রতিদিন স্কুলের টিফিন পিরিয়ডে একসঙ্গে বসে গান গাই। অন্যরাও আমাদের সঙ্গে গান গায়। আমরা ‘মোহ’, ‘মুরব্বি’, ‘কদম’সহ কোক স্টুডিও বাংলার বিভিন্ন গান যেমন ‘তাঁতি’, ‘দেওরা’, ‘কথা কইয়ো না’ ইত্যাদি গান গাই।
আমরা এখন দশম শ্রেণিতে। স্কুল লাইফ আর ছয় মাসও বাকি নেই। এরপর কে কোথায় যাব, ঠিক নেই। স্কুলে কাটানো এই মুহূর্তগুলো আমাদের সুন্দর মুহূর্ত। সুন্দর স্মৃতি তৈরি করার চেষ্টায় সদা নিয়োজিত আমাদের গানের দল ‘উফফ! গোঁজামিল!’
দশম শ্রেণি,যশোর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়,যশোর।