চোখের মেগাপিক্সেল কত

চোখছবি: সংগৃহীত

উত্তর: ৫৭৬ মেগাপিক্সেল

বিস্তারিত…

একটা ছবি হাতে নিলে তুমি কোনো আলোর ছোট ছোট বিন্দু দেখতে পাও না। তুমি ছবিটাই দেখো। ছবিতে ধরো আছে তোমার বন্ধু। ছবিটা অনেক অনেক জুম করলে দেখবে, চতুর্ভুজ আকারের লাখ লাখ আলোর বিন্দু। এগুলোকে বলা হয় পিক্সেল। এসব আলোর বিন্দু বা পিক্সেল যত বেশি, ছবির মেগাপিক্সেল তত বেশি হবে। ছবির রেজল্যুশন বা পিক্সেলের যে হিসাব আমরা দেখি, তা মূলত এসব ছোট ছোট আলোর বিন্দুর পরিমাপ। হাই রেজল্যুশন বা উচ্চ পিক্সেলের ছবিতে এই পরিমাপ অনেক বেশি থাকে। ক্যামেরায় প্রায়ই মেগাপিক্সেল কথাটি বলা হয়। ১ মেগাপিক্সেল বলতে মূলত ১০ লাখ পিক্সেল বা ছোট ছোট আলোকবিন্দু দিয়ে তৈরি ছবিকে বোঝানো হয়।

ছবির পিক্সেলের দৈর্ঘ্য আর প্রস্থটা জানলে খুব সহজেই স্মার্টফোনের ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবির মেগাপিক্সেল হিসাব করা যায়। শুধু দুটি সংখ্যা গুণন করলেই হবে। ধরো, কোনো ছবির দৈর্ঘ্য বা ওয়াইড দেখা গেল ৯০০ পিক্সেল এবং প্রস্থ বা হাইট ১২০০ পিক্সেল। এ দুই গুণন দিলে হয় ১০ লাখ ৮০ হাজার পিক্সেল। অর্থাৎ ছবিটা মোটে ১.৮ মেগাপিক্সেলের একটি ছবি।

আরও পড়ুন

এখানে একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন। ছবির মেগাপিক্সেল বেশি মানে সুন্দর বা ঝকঝকে ছবি না। ছবির মানের সঙ্গে মেগাপিক্সেলের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা শুধু ছবির মাপ বোঝায়। ছবির মান এক্সপোজার, ফোকাস, আলোকবিন্যাস, ক্যামেরার লেন্সসহ আরও অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।

যা–ই হোক, মানুষের চোখ তো আর ডিজিটাল ক্যামেরার নিয়মকানুনে চলে না। দুটি রেখা মাত্র ০.৬ আর্কমিনিট (এই মিনিট দিয়ে সময় নয়, কোণ বোঝানো হচ্ছে) কৌণিক দূরত্বে থাকলে সহজেই আলাদা করা যায়। চোখে প্রতি পিক্সেলের আকার থাকে ০.৩ আর্কমিনিট। তুমি সাধারণত ১২০ ডিগ্রি অনুভূমিক (পাশাপাশি) এলাকা এবং ৬০ ডিগ্রি উলম্ব (লম্বালম্বি) এলাকা তোমার দৃষ্টিসীমায় দেখতে পাও। এই দৃষ্টিসীমা থেকে চোখের মেগাপিক্সেল হবে:

১২০*১২০*৬০*৬০/(০.৩*০.৩)=৫৭৬০০০০০০ পিক্সেল =৫৭৬ মেগাপিক্সেল।