একটি ভয়ংকর রাত

আমাদের পরীক্ষা কয়েক দিন আগেই শেষ হয়েছে। তাই একটু স্বস্তিতে নিশ্বাস ফেলতে পারছি। এখন বাধা দেওয়ার মতো কেউ নেই। পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুদিন পর মা-বাবা দুজনেই খাওয়া শেষে রুমে ঘুমাতে গিয়েছেন। তারপর আমিও রাত ১২টা পর্যন্ত টিভি দেখে শুয়ে পড়েছি। তখন প্রায় রাত একটা বাজে। হঠাৎ আমি একটি শব্দ শুনতে পাই। আমার পাশের বেসিনের কল দিয়ে জোরে পানি পড়ছে। আমার তো তখনো অতটা ভয় লাগেনি। তাই আমি কলটা বন্ধ করে দিয়ে এলাম। তারপর আবার কিছুক্ষণ পর সেই কলের শব্দ শুনতে পাই। অথচ আমার স্পষ্ট মনে ছিল আগেরবার আমি বেসিনের কল বন্ধ করে দিয়ে এসেছিলাম। তখন আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি ভয়ে ভয়ে আবারও বেসিনের কল বন্ধ করে দিলাম। তারপর আমি শুয়ে পড়ি।

হঠাৎ মাঝরাতে আমি একটি বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমি তখন এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যে আমার কথা বলারও সাহস ছিল না। আমি আমার পাশে থাকা টর্চলাইটটি জ্বালাতেই অদ্ভুত সেই বাচ্চার আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর টর্চ নেভাতেই শুরু হলো সেই বাচ্চার কান্নার আওয়াজ। আমি তখন টর্চ জ্বালাতেই সে আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল। আমি তখন ভয়ে জোরে চিত্কার করি। চিত্কার শুনেই মা-বাবা পাশের ঘর থেকে ছুটে এল। আমি তাদের সব খুলে বলি। তখন তারা আমাকে বলে এটি হয়তো তোর মনের ভুল। কিন্তু আমি কিছুতেই এসব ঘটনা অবিশ্বাস করতে পারি না। এখনো আমার সেই ভয়ংকর রাতের কথা মনে পড়লে গায়ে কাঁটা দেয়।

লেখক: শিক্ষার্থী, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সৈয়দপুর, নীলফামারী