খেতাবপ্রাপ্ত বিদেশি মুক্তিযোদ্ধা ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ডের মৃত্যু

ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড
জানা-অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটি পাতা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো আমাদের মনে থাকলেও কত গল্পই তো দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ১৮ মে ২০২৪। বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল, যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র বিদেশি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড। তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৯১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে। তবে তিনি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক, তাঁর পিতৃভূমি ছিল সেখানে। ওডারল্যান্ডের কখনো স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। তাই মাত্র ১৭ বছর বয়সে তাঁকে লেখাপড়া ছেড়ে জীবিকার জন্য ছুটতে হয়। তখন তিনি কাজ নেন জুতা-পলিশের। পরে সেখান থেকে তিনি বাটা শু কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। জীবনের একপর্যায়ে এসে ওলন্দাজ জাতীয় সামরিক বাহিনীতে নাম লেখান। যোগ দেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে।

ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৯৭০ সালে বাটা শু কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে। তাঁর কিছুদিনের মধ্যে দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। সে সময় যুদ্ধকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয় তাঁর। নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্মম অত্যাচারের চিত্র তাঁর মনকে ব্যথিত করে। এরপরই ঠিক করেন তিনিও যোগ দেবেন মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ২ নম্বর সেক্টরে গণবাহিনীর সদস্য হিসেবে যুদ্ধ করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর প্রতীক খেতাব দেয়। ২০০১ সালের আজকের এই দিনে বাংলাদেশ হারায় তার দুঃসময়ের পরম বন্ধু ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ডকে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় পার্থের এক হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

১৭৯৮ সালের আজকের এই দিনে লর্ড ওয়েলেসলি গভর্নর জেনারেল হিসেবে কলকাতায় আসেন। তিনি ১৮০৫ সাল পর্যন্ত ভারতের গভর্নর জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়া ১৯৭৬ সালে ভারত প্রথম পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায়।

আরও পড়ুন