হুমায়ুন ফরীদির মৃত্যু

হুমায়ুন ফরীদি (জন্ম: ২৯ মে ১৯৫২—মৃত্যু ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২
জানা-অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটি পাতা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো আমাদের মনে থাকলেও কত গল্পই তো দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪। নতুন বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল, যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!
  • ‘মৃত্যুর মতো এত স্নিগ্ধ, এত গভীর সুন্দর আর কিছু নেই। কারণ, মৃত্যু অনিবার্য।’ যাঁর কাছে মৃত্যু এতটাই সুন্দর, তিনি আমাদের হুমায়ুন ফরীদি। বেসরকারি এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৃত্যু নিয়ে এমনটাই বলেছিলেন তিনি। আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি চলে যাওয়ার পর আরও ১২টি বসন্ত পেরিয়ে গেলেও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনে তিনি ঠিক আগের মতোই জায়গা করে আছেন। হুমায়ুন ফরীদির জন্ম ১৯৫২ সালের ২৯ মে, ঢাকায়। একাত্তরে যুদ্ধ যখন প্রায় শুরুর পথে, তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তবে পরে সব ছেড়ে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। যুদ্ধ শেষে ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সেখান থেকেই পড়াশোনা শেষ করেন। আগে টুকটাক মহল্লার নাটকে অভিনয় করলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শুরু হয় তাঁর আসল অভিনয়জীবনের যাত্রা। সেলিম আল দীনের ‘শকুন্তলা’ নাটকের তক্ষক চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে শুরু করেন তাঁর অভিনয়জীবন। তবে তাঁর প্রথম অভিনীত টেলিভিশন নাটক ছিল ‘নীলনকশার সন্ধানে’। এর পর থেকে একে একে উপহার দিয়ে গেছেন ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’, ‘বকুলপুর কতদূর’, ‘মহুয়ার মন’, ‘সাত আসমানের সিঁড়ি’, ‘একদিন হঠাৎ’, ‘সংশপ্তক’, ‘কোথাও কেউ নেই’ ইত্যাদির মতো চমৎকার সব কাজ।

  • এ ছাড়া ১৬০১ সালের এই দিনে বাংলায় প্রায় ১০০ বছর রাজত্ব করা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রথম সমুদ্রপথে ভারত আগমন করে। শুরুর দিকে বাংলায় ইস্ট ইন্ডিয়া ছিল শুধু একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম। তবে ধীরে ধীরে তারা রাজনীতিতে প্রভাব খাটানো শুরু করে। ফলে একসময় এই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে হয়ে ওঠে শাসক।