ভয়াল সেই কালরাত

পঁচিশে মার্চ কালরাত স্মরণছবি: সৌরভ দাশ
জানা-অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটি পাতা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো আমাদের মনে থাকলেও কত গল্পই তো দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ২৫ মার্চ ২০২৪। বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল, যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!

সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে মধ্যরাতে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ঢাকাবাসী। গভীর সেই ঘুম ভাঙে মেশিনগান, রাইফেল আর মর্টারের গর্জনে। মুহূর্তে আতঙ্কে কুঁকড়ে যায় গোটা শহর। বলছিলাম একাত্তরের ভয়াল কালরাতের কথা। সেই ভয়ংকর রাতের গল্প আমাদের সবার জানা। আজ ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। আজকের এই তারিখে, মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। হানাদার বাহিনীর এই পরিকল্পনার নাম ‘অপারেশন সার্চলাইট’।

এর আগে বেশ কিছু সময় ধরে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল। সেই অবস্থা থেকেই দেশের জনগণ ধারণা করে নিয়েছিল, স্বাধীনতা সন্নিকটে। এই ধারণা আরও প্রকট হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের পর। সবাই যখন নিজেদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল, ঠিক সেই সময় পাকিস্তান সরকার জাতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছিল। এরই অংশ ছিল এই ‘অপারেশন সার্চলাইট’। ২৫ মার্চ গভীর রাতে ঘুমন্ত শহরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জলপাই রঙের ট্যাংকে চড়ে যত্রতত্র গণহত্যা চালায়। শুরুটা ছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইনস এলাকা থেকে। এরপর সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় চলতে থাকে। এক রাতের মধ্যে ঢাকা শহর পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে।

পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউনে সেই রাতে আরও অনেকের সঙ্গে আমরা হারাই বাংলাদেশের বিশিষ্ট দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ গোবিন্দচন্দ্র দেবকে। একই রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন