ফুঁ দিলে আগুন জ্বলে আবার নিভেও যায় কেন

কিশোর আলোর নভেম্বর সংখ্যার প্রচ্ছদ
অলংকরণ: রাকিব রাজ্জাক

আচ্ছা বলো তো, আমরা কোনো কাঠের টুকরা বা কয়লায় আগুন উস্কে দেওয়ার জন্য ফুঁ দিই। তাতে আগুন দপ করে জ্বলে ওঠে।

কিন্তু মোমবাতিতে ফুঁ দিলে মোমবাতি নিভে যায় কেন?

মোমবাতি জ্বলে গলা মোমের বাষ্প থেকে। ফুঁ দিলে ওই গ্যাস সরে যায়। তখন শিখা নিভে যায়।

আর কাঠের আগুনে ফুঁ দিলে চারদিক থেকে অক্সিজেন এসে কাঠটাকে জ্বালিয়ে তোলে। এটা ঘটে ফুঁ দেওয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর।

এবার বলো, হাতের তালুতে হাঁ করে মুখের বাতাস ছাড়লে গরম লাগে, আর মুখ গোল করে ফুঁ দিলে ঠান্ডা লাগে কেন? হাঁ করে যখন ছাড়ি, তখন মুখের ভেতরের গরম বাতাস গরম–গরম বের হয়। আমাদের শরীর কিন্তু বাইরের বাতাসের চেয়ে গরম।

আর মুখ সরু করলে? মুখের বাতাসটা হাতে এসে লাগে না। বাইরের ঠান্ডা বাতাস এসে হাতে লাগে। বিশ্বাস না হলে মুখ সরু করে ফুঁ দিতে দিতে হাতটা একবার মুখের কাছে নিয়ে যাও, একবার দূরে নিয়ে যাও। দূরে নিয়ে গেলে ঠান্ডা লাগবে। মুখের কাছে ধরলে মুখ সরু থাকলেও গরম বাতাসই হাতে লাগবে।

কী শিখলাম? একই যাত্রায় দুই ফল হতে পারে। কারণ, যাত্রা দুটো হুবহু এক নয়। কোনো না কোনো উপাদান পাল্টে যায়। আইসক্রিম গরম করলে গলে যাবে, ডিম গরম করলে শক্ত হবে। দুটো তো দুই জিনিস।

তবে আইনস্টাইন বলেছেন, একই জিনিস একইভাবে বারবার করার পর ফল আলাদা আশা করাটা হলো পাগলামি। আলাদা ফল পেতে হলে কোনো না কোনো কাজ বা উপকরণ একটু হলেও বদলাতে হবে।

তোমাদের সামনে পরীক্ষা। পরীক্ষায় ভালো করতে হলে চাই গভীর মনোযোগ আর অনুশীলন। মনে রেখো, ভালো করতে হলে পরিশ্রম করার কোনো বিকল্প নেই।