২৯ ফেব্রুয়ারি চার বছরে একবার আসে কেন

জানা-অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটি পাতা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো আমাদের মনে থাকলেও কত গল্পই তো দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪। নতুন বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল, যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!

সময়টা ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫ অব্দ। রোম সম্রাট জুলিয়াস সিজার তখন রাজত্ব করছেন। তাঁর আমলে হঠাৎ একদিন ক্যালেন্ডারে দিন গণনার হিসাবে দেখা দিল গোলমাল। ধারণা ছিল, পৃথিবী সূর্যকে পুরোপুরি প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন। কিন্তু পরে দেখা গেল, না, ৩৬৫ দিন নয়, বরং সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর প্রয়োজন হয় ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড। বছর আমরা হিসাব করে থাকি ৩৬৫ দিনে। তাহলে আর বাকি ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের কী হবে? এই ঘটনা বহুদিন মানুষের চোখ এড়িয়ে যায়। পরে সম্রাট সিজার নিজেই এই সমস্যার সমাধান নিয়ে হাজির হন। প্রতিবছর প্রায় ছয় ঘণ্টা বাড়তি থাকলে, প্রতি চার বছরে তা গোটা এক দিনের সমান হয়। এই হিসাব থেকেই সিজার চার বছর অন্তর অন্তর বছরের একেবারে শেষে একটি বাড়তি দিন যোগ করে নতুন ক্যালেন্ডার তৈরির নির্দেশ দেন। সেই থেকে শুরু একটি বাড়তি দিন গণনা। তবে তখনো এর নাম ‘লিপ ইয়ার’ বা ‘অধিবর্ষ’ ছিল না। এই ক্যালেন্ডারের প্রচলন ছিল বেশ লম্বা সময় ধরে।

আরও পড়ুন

তবে ১৫ শতাব্দীর শেষের দিকে সেই ক্যালেন্ডারে আবার গন্ডগোল দেখা দেয়। পরে ১৫৮২ সালে পোপ অষ্টম গ্রেগরি সেই সমস্যা সমাধান করতে বাড়তি সেই দিনকে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে জুড়ে দেন। যাতে করে ২৮ দিনের ফেব্রুয়ারি মাস চার বছর অন্তর অন্তর ২৯ দিনে রূপান্তরিত হয়। সেই থেকে শুরু হয় গ্রেগরিয়ান নামের নতুন ক্যালেন্ডারের প্রচলন। সেই সঙ্গে লিপ ইয়ারেরও।

এ ছাড়া ১৯৪৮ সালের আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের বিখ্যাত নাট্যকার ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাইকপাড়ায় তাঁর জন্ম। ষাটের দশক থেকে নাট্যজগতে কাজ করে আসছেন এই অভিনেতা। এর পর থেকে ছোট পর্দার জন্য লিখেছেন অসংখ্য নাটক, একই সঙ্গে অভিনয়ও করে গেছেন অগণিত নাটকে। নাট্যজগতে বিশেষ অবদানের জন্য মামুনুর রশীদ ২০১২ সালে একুশে পদক লাভ করেন।