নষ্ট ঘড়ি

কয়েক বছর আগের ঘটনা। তখন আমি নার্সারিতে পড়ি। আম্মু বলত, স্কুলে না গেলে আমার নাম কেটে দেবে। স্কুলে যাওয়ার জন্য পাগল ছিলাম! স্কুলের সময় সকাল আটটা। আম্মু আমাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য ডেকে আবার রান্নাঘরে চলে গেল। আমার বিছানার সামনে ছিল একটা ঘড়ি। ঘুম থেকে উঠে চোখ কচলাতে কচলাতে ঘড়ির দিকে তাকালাম (ঘুম থেকে থেকে উঠে ঘড়ির দিকে তাকানো আমার অভ্যাস)।

দেখলাম,সাড়ে ৯টা বাজে। হায় হায়! এখন আমার কী হবে? যদি ম্যাডাম আমার নাম কেটে দেয়! আমি দৌড়াতে দৌড়াতে আম্মুর কাছে গিয়ে বললাম, ‘আমি স্কুলে যাব কীভাবে? আমার যে অনেক দেরি হয়ে গেছে, ঘড়িতে দেখো, সাড়ে নয়টা বাজে।’ ‘কে বলেছে তোমাকে?’ আম্মু তো অবাক। ‘আমাদের বেডরুমের সামনে যে একটা ঘড়ি আছে, সেখানে দেখলাম।’ আম্মু তখন আমার মুখের কান্নাকান্না ভাবটা খেয়াল করল। বলল, ‘আরে বোকা মেয়ে, এখন মাত্র সাতটা বাজে।’ পরে আম্মু ড্রয়িংরুমে গিয়ে ঘড়ি দেখাল, তখন সত্যি মাত্র সাতটা বাজছিল! আসলে বেডরুমের ঘড়িটা মাঝেমধ্যে নষ্ট হয়ে যেত।

মাহদিয়াত নুসাইবা রশিদ

চতুর্থ শ্রেণি, ক্রিসেন্ট কিন্ডারগার্টেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া