দিল্লির লাল কেল্লা নির্মাণ শুরু

লাল বেলেপাথরের বিশাল উঁচু প্রাচীরে ঘেরা এই কেল্লা। আর এই রংটার কারণেই মূল নাম হারিয়ে এর নাম হয়ে গেছে লাল কেল্লা বা রেড ফোর্ট।
জানা-অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটি পাতা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো আমাদের মনে থাকলেও কত গল্পই তো দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ১৩ মে ২০২৪। বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল, যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!

২০১৪ সাল। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। পড়ার চাপ আছে। হুট করে ঠিক হলো যে বাসার সবাই মিলে ভারত সফরে যাব। উদ্দেশ্য মূলত তাজমহল দেখতে যাওয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী আট দিনের সফরকে সামনে নিয়ে প্লেনে চেপে বসলাম। নামলাম হলুদ ট্যাক্সির শহর কলকাতায়। সেখান থেকে দিল্লি। দিল্লিতে গিয়ে পরের দিনই রওনা দিই তাজমহল দেখার উদ্দেশ্যে। তবে সেদিন তাজমহল ছাড়া আরেকটি জায়গাও আমার মনে দাগ কেটেছিল। সেটা হচ্ছে দিল্লির লাল কেল্লা বা রেড ফোর্ট।

লাল কেল্লা ভারতের মোগল যুগের অন্যতম নিদর্শন ও অনুস্মারক হিসেবে মাথা উঁচু করে আছে। ১৬৩৮ সালের আজকের এই দিনে সম্রাট শাহজাহানের নেতৃত্বে নির্মাণ শুরু হয়েছিল এটির, যা ১৬৪৮ সাল পর্যন্ত চলে। নির্মাণের পর এই দুর্গ দুই শতাব্দীর বেশি সময় ধরে মোগল সম্রাটদের প্রধান বাসস্থান ছিল। লাল বেলেপাথরের দেয়াল ও জটিল স্থাপত্যের কারণে বিশ্বে এটি ভারতের একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক।

৬০ ফুটের বেশি উচ্চতায় দাঁড়িয়ে থাকা লাল কেল্লার বিশাল দেয়াল ঘিরে রেখেছে প্রাসাদ, বাগান ও প্যাভিলিয়ন নিয়ে একটি বিশাল কমপ্লেক্সকে। দুর্গের মধ্যে প্রধান কাঠামোগুলোর মধ্যে রয়েছে দিওয়ান-ই-আম, দিওয়ান-ই-খাস ও রংমহল।

এ ছাড়া ১৮৩০ সালের আজকের এই দিনে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ইকুয়েডর। ১৮৬১ সালের একই দিনে তখনকার ব্রিটিশ ভারতে (বর্তমানে পাকিস্তান অংশে) প্রথম রেলপথের উদ্বোধন করা হয়।

আজ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৪৭ সালের এই দিনে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন তিনি।

আরও পড়ুন