শেষ হলো জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা

জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীরা

শেষ হলো জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্ব। গত ২১ জুন, শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়।

শনিবার সকাল ৮টায় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উদ্বোধন হয় প্রতিযোগিতার। বিকেলে শেষ হয় পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে। প্রোগ্রামিং, কুইজ ও দাবা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ীরা। তবে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে। কুইজ ও দাবা প্রতিযোগিতার মূল ভেন্যুতেই আয়োজিত হয়। এ ছাড়া দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে আরও ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক সেশন, সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এর আগে, গত ২৮ মে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় ১৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক বাছাই পর্ব। আঞ্চলিক পর্বে সারা দেশের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে। কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয় এ পর্বে। এ পর্বে নির্বাচিত বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্ব।

অনুষ্ঠানের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এনভিসি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক মো. জফরুল আলম খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন। আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক মুহম্মদ মেহেদী হাসান।

ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আজকের এই প্রজন্মই ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক। বর্তমানের প্রোগ্রামাররা জাতিকে আলোর দিশারী হিসেবে এগিয়ে নেবে।’

শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ যে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সরকার তা পুরোপুরি বিবেচনায় রেখে পরিকল্পনা করছে। ভবিষ্যতে এই প্রোগ্রাম আরও বড় পরিসরে হবে।’

মুহম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, ‘মেধাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই আমাদের এই আয়োজন। এ ধরনের প্রতিযোগিতা এই প্রজন্মকে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করবে।’

এরপর নাম ঘোষণা করা হয় বিজয়ীদের। প্রোগ্রামিং জুনিয়র ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে খুলনা জিলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্র সরকার। প্রোগ্রামিং সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী বিএএফ শাহীন কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়ান ফেরদৌস। প্রোগ্রামিং হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী দেবজ্যোতি দাশ। কুইজ প্রতিযোগিতায় জুনিয়র ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. তাহসিন কবির। সিনিয়র ক্যাটাগরিতে বিজয়ী দশম শ্রেণির রায়হান মাহবুব। দাবা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় ৪ সদস্যের একটি দল। এই দলে ছিল সিয়াম চৌধুরী, রায়ান রশিদ, ওয়ারসিয়া খুশবু এবং নীলাভা চৌধুরী। 

এই প্রতিযোগিতার মূল আয়োজক বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে ছিল বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন, ইডিজিই প্রকল্প এবং ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি। 

প্রতিযোগিতার ফলাফল ও অন্যান্য তথ্যসহ বিস্তারিত জানতে দেখুন: https://nhspc.org.bd

আরও পড়ুন