এআই অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব ১৮ মে

বাংলাদেশ এআই অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১৮ মে, শনিবার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে এ অলিম্পিয়াডের বাছাইপর্ব শেষ হয়েছে।

আঞ্চলিক পর্বের বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্তমানে চলছে অনলাইন গ্রুমিং সেশন। চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। এই সেশনগুলোতে বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব নিয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক লাফিফা জামাল এবং তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেনের যৌথ তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত হচ্ছে সেশনগুলো। পরিচালনা করছেন বিকাশের অ্যাডভান্স রিসার্চ অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার নাফিস তিহাম, ইনটেলিজেন্ট মেশিন্সের সিনিয়র এআই ইঞ্জিনিয়ার আহনাফ হোসাইন রাফি, মাইক্রোসফট রিসার্চের সিনিয়র গবেষক সৈকত চক্রবর্তী, অন্তিক টেকনোলজির চিফ মার্কেটিং অফিসার তাহমিদ আব্দুল্লাহ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী প্রমা চৌধুরী ও  মো. সিয়াম।

এরপর আগামী ১৮ মে জাতীয় পর্ব শেষে কিছু শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। তাদের নিয়ে আগামী ২১-২২ মে অনলাইনে আয়োজিত হবে গ্রুমিং সেশন। এরপর ২৩-২৫ সিলেকশন ক্যাম্প এবং আন্তর্জাতিক টিম সিলেকশন টেস্ট আয়োজিত হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স ও বুদ্ধিমত্তার দক্ষতা যাচাই করে চূড়ান্তভাবে ঠিক করা হবে চার সদস্যের দল। দলটি ৯–১৫ আগস্ট বুলগেরিয়ায় অনুষ্ঠেয় প্রথম আন্তর্জাতিক এআই অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে দুই রাউন্ডে। প্রথমে সায়েন্টিফিক রাউন্ড। সেখানে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান করতে হবে। দ্বিতীয়টি প্র্যাকটিক্যাল রাউন্ড। এ পর্বে শিক্ষার্থীরা বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সরাসরি ব্যবহৃত হচ্ছে, এমন কিছু টুলের ওপর নিজেদের তৈরি করা প্রোগ্রাম ব্যবহারের মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান করবে।

প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে আয়োজিত এ অলিম্পিয়াডের জন্য বাংলাদেশ দল নির্বাচন প্রসঙ্গে অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের এই কার্যক্রমগুলোর উদ্দেশ্য শুধু প্রতিযোগিতা করা নয়। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ মেটাতে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা দেওয়া এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আয়োজন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রম রয়েছে আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায়।’

এআই অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১৮ মে

এ অলিম্পিয়াড আয়োজন প্রসঙ্গে অধ্যাপক লাফিফা জামাল বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং তাদের উদ্ভাবনীশক্তি বিকাশে এ ধরনের আয়োজন বড় ভূমিকা রাখবে।’

এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন করে অনলাইন পর্বে অংশগ্রহণ করেছে। ৮ মে, বুধবার প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ওয়েবসাইট toph.co-তে অনুষ্ঠিত হয়েছে অনলাইন বাছাইপর্ব। সেখান থেকে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের নিয়ে এবার অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় পর্ব। মূলত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় আগ্রহী করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ এআই অলিম্পিয়াড আয়োজন করছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন), পাওয়ারড বাই রিভ চ্যাট। গোল্ড স্পনসর ব্রেইন স্টেশন ২৩। এআই ইনোভেশন পার্টনার ই-জেনারেশন। সিলভার স্পন্সর ইনটেলিজেন্ট মেশিন্স। স্ট্রাটেজিক পার্টনার একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)। অ্যাসোসিয়েট পার্টনার প্রথম আলো। এনএলপি পার্টনার গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প। সহযোগিতায় রয়েছে ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার, বাইটস ফর অল, বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড, জেআরসি বোর্ড, ওয়ার্ল্ড রোবট অলিম্পিয়াড-বাংলাদেশ, বাংলার ম্যাথ ও স্ক্র্যাচ বাংলাদেশ। ম্যাগাজিন পার্টনার হিসেবে আছে বিজ্ঞানচিন্তা ও কিশোর আলো।

আরও পড়ুন