আমার ‘হ্যাপি প্লেস’
২০১৫ সালের কোনো এক বিকেলে আপুর হাতে দেখি চকচকে এক ম্যাগাজিন। মোটামুটি ছোঁ মেরে নিয়ে যখন পাতা ওলটালাম, মুগ্ধ হতে বাধ্যই হলাম আমি। কী নেই এখানে? ধীরে ধীরে নতুন একটা জগৎ গড়ে উঠল আমার।
মার্ভেলের কয়েকজন সুপারহিরো কিংবা গোয়েন্দা হতে চাইলে কী করতে হবে, এসব আমাকে জানাত আমার এই বন্ধু। একদিন দেখি, বন্ধুর জন্মদিনে ধুমধাম করে আয়োজন করা হবে কিআনন্দ। যেই ভাবা সেই কাজ—চলে গেলাম সেই আয়োজনে। সেখান থেকে কিআকে দেখতে পাই নতুন এক মোড়কে। জানতে পারি কিআড্ডার কথা—কিশোর আলোর মাসিক সভা। পরের মাসেই তোড়জোড় শুরু করি সেখানে যাওয়ার। আর যাওয়ার পরই এই ছোট্ট সামিনের পৃথিবীর গণ্ডি হয়ে ওঠে অনেক বড়।
প্রতি মাসেই কিআড্ডায় যাওয়া শুরু করি। আমার ‘হ্যাপি প্লেস’ হয়ে ওঠে কিআড্ডা। বছর ঘুরে আবার জন্মদিন আসে। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে প্রথমবারের মতো অংশ নিই কোনো আয়োজনে। এর পর থেকে কিআর সঙ্গে আরও গভীর সম্পর্ক আমার। তখন বয়স কেবল ১৩–১৪, জীবনের প্রথম কনসার্ট করি কিআর জন্মদিনেই! গিটার শেখা বা অনেক মানুষের সামনে মন খুলে কথা বলতে পারাটা শেখানোর পেছনে তোমার অনেক অবদান কিআ।
ধীরে ধীরে আমার বয়স বাড়ে, কিআর প্রতি দায়িত্বও সে হারে বাড়তে থাকে। কিআর সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে ওঠা আমার। আজকে কিআর হচ্ছে এক যুগ! শুভ জন্মদিন কিশোর আলো। আরও অনেক শিশু-কিশোরকে আগলে রেখো তুমি, ঠিক যেভাবে রেখেছিলে আমাকে।