ভাগ্যিস, বেঁচে গেছি

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

২০২২ সাল। তখন আমি প্লেতে পড়ি। শুক্র-শনিবার ও অন্য ছুটির দিনগুলোয় বাবার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। এ রকম এক শনিবারের কথা, মা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, মায়ের তখন শনিবার ছুটি ছিল না। মা তখন স্কুলে গিয়েছিল এবং বলে গেল, কোথাও না বেরোতে। কিন্তু মায়ের নিষেধ অমান্য করে বাবার সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গেলাম আমি। চিড়িয়াখানার ভেতরে শিশুপার্ক ছিল, সেখানে বাবা ও আমি ঢুকলাম। ঝরনা দেখে আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম (আগে ঝরনা ছিল না)। একটি আপু ঝরনার পশ্চিম পাশের দেয়ালে উঠেছিল। আমারও ঝরনার দেয়ালে ওঠার ইচ্ছা হলো। বাবাকে বললাম, বাবা প্রথমে নিষেধ করলেও পরে আবার বলাতে রাজি হলো। বাবা আমার হাত ধরে পূর্ব পাশের দেয়ালে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে থাকল, একটি সিঁড়ি ঝরনার পানিতে ভিজে পিচ্ছিল হয়ে ছিল। বাবা খেয়াল করেনি। সেখানে পা দিতেই বাবাসহ আমি প্রায় ৭ ফুট উঁচু থেকে নিচে ঝরনার পানিতে পড়ে গেলাম। আমি পড়লাম বাবার গায়ের ওপর। ভয়ে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। ওখানে বাবার হাঁটুর ওপর পর্যন্ত পানি ছিল। একটি লোক এসে আমাদের উদ্ধার করেন। ভাগ্যিস, বাবার গায়ের ওপর পড়েছিলাম। তা না হলে যে কী হতো।

লেখক : শিক্ষার্থী, প্রথম শ্রেণি, শহিদ শংকু সমজদার বিদ্যানিকেতন, রংপুর

আরও পড়ুন