জাপানের চন্দ্রজয়, ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র

সম্প্রতি পঞ্চম দেশ হিসেবে চাঁদের বুকে সফলভাবে অবতরণ করেছে জাপানের ল্যান্ডার মুন স্নাইপার। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ভারতের পরে জাপান ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে এ সফলতা অর্জন করে। যে নভোযানে করে ল্যান্ডারটি চাঁদের বুকে যাত্রা করেছে, তার নাম দ্য স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভিস্টিগেশন মুন। সংক্ষেপে একে বলে স্লিম (এসএলআইএম)। এই মিশনের সাহায্যে চাঁদের বুকে খনিজ পাথর পরীক্ষা করবে জাপান।

পাশাপাশি আরও একটা বড় লক্ষ্য অর্জন করেছে জাপান এ মিশনের সাহায্যে। খেয়াল করেছ হয়তো, ল্যান্ডারটির নাম মুন স্নাইপার। চাঁদে যাবে তাই মুন বোঝা গেল। কিন্তু স্নাইপার কেন? কারণ, ল্যান্ডারটির চন্দ্রপৃষ্ঠে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের ১০০ মিটারের মধ্যে অবতরণ করার কথা। তাই এমন নাম। অর্থাৎ স্নাইপারের নিখুঁত গুলির মতো ল্যান্ডারটিও গিয়ে নামবে নিখুঁত লক্ষ্যে, নিখুঁতভাবে। কারণ, এর আগে আরও চারটি দেশ চাঁদে অবতরণ করলেও কেউ এ রকম নির্দিষ্ট স্থানে অবতরণ করতে পারেনি। তবে জাপান পেরেছে কি না, তা–ও এখনো নিশ্চিত করে বলা যায় না। এটা নিশ্চিত হতে আরও প্রায় দুই মাস লাগবে।

অন্যদিকে চাঁদে যাওয়ার জন্য পেরিগ্রিন নভোযান পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা ছিল ল্যান্ডারটির। মাটির গঠন ও তাপমাত্রা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চেয়েছিল নাসা। সেই সঙ্গে খুঁজে দেখতে চেয়েছিল চাঁদে পানি আছে কি না এবং ভবিষ্যতে বসবাসের জায়গা কোনটি হতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নভোযানের জ্বালানি ট্যাংক ফুটো হয়ে যাওয়ায় আর চাঁদ পর্যন্ত যেতে পারেনি নভোযানটি। তাই ১৮ জানুয়ারি চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে এটি ধ্বংস করা হয়।

২০২৬ সালের মধ্যে আবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এ মিশন তারই অংশ ছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ হওয়ায় নাসা হয়তো কিছুটা হোঁচট খেল। তবে দ্রুত সামলে উঠবে বলেই আমাদের আশা।