আজ বিশ্ব নারী দিবস

জানা-অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটি পাতা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো আমাদের মনে থাকলেও কত গল্পই তো দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ০৮ মার্চ ২০২৪। বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল, যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!

আজ যে ‘বিশ্ব নারী দিবস’, তা পত্রিকার পাতা কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্ক্রল করতে গিয়ে অনেকেই জেনে গেছ। কিন্তু তোমরা কি জানো বিশেষ দিনটি কেমন করে এল? কী এর ইতিহাস? কবে থেকে পালন করা শুরু হলো এই বিশেষ দিন? চলো, তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

গত শতাব্দীর প্রথম দিককার শ্রমিক আন্দোলন থেকে মূলত আসে নারী দিবস। ১৯০৮ সালের দিকে নিজের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে রাজপথে নামেন নিউইয়র্কের নারীরা। কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনা, পারিশ্রমিক বৃদ্ধি এবং ভোটাধিকার আদায়ের মতো বেশ কিছু দাবি নিয়ে শুরু হয় এই আন্দোলন। এ আন্দোলনে উপস্থিত ছিল প্রায় ১৫ হাজার নারী। ‘নারী দিবস’ নামের বিশেষ দিনের শুরু সেখান থেকেই। এরপর দিনটিকে কীভাবে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে কাজ করেছেন আরেক মার্কিন নারী—ক্লারা জেটকিন। তিনি ছিলেন একজন কমিউনিস্ট ও নারী অধিকারকর্মী। ১৯১০ সালে তিনিই প্রথম ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে কর্মজীবী নারীদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারী দিবস পালনের প্রস্তাব করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ১৭টি দেশ থেকে আসা ১০০ জন নারী প্রতিনিধি। তাঁরা সবাই ক্লারার প্রস্তাবে সম্মতি দেন। তাই পরের বছর অর্থাৎ ১৯১১ সালে অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডে প্রথমবারের মতো পালিত হয় নারী দিবস। তবে তখন এই দিবস পালনের কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ছিল না। পরে ১৯১৭ সাল থেকে আজকের দিনকে অর্থাৎ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তোমরা কি জানো, দিনটির বিশেষ একটি রং রয়েছে? রংটি হচ্ছে বেগুনি। বেগুনি রং ন্যায়বিচার ও মর্যাদার প্রতীক। তাই এই দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নারীরা এই রঙে নিজেদের সাজিয়ে তোলেন।

এ ছাড়া আজকের এই দিনে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট ঐতিহাসিক প্রাদেশিক নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৭টি লাভ করে। আর মুসলিম লীগ পায় শুধু ৯টি আসন।