সাবান গোলা জল

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

কিআতে লিখতে হবে

রাতের বেলায় পড়তে বসেছি। গলাটা শুকিয়ে আসছে। পাশে রাখা বোতলের অর্ধেক পানিটুকু ঢকঢক করে খেলাম। প্রায় চার ঢোক খেয়ে দেখলাম, পানিতে বুদ্‌বুদ। দেখে আমি অবাক! পানিতে বুদ্‌বুদ! একটু ঝাঁকুনি দিতেই...হায়! হায়! এটা তো পুরো সাবানের ফেনা! ঘন সাবানের ফেনা! তাহলে কি আমি সাবান গোলা জল খেয়ে ফেললাম? বেশ ভয় পেয়ে গেলাম এটা ভেবে। পরে মনে পড়ল, সন্ধ্যায় পড়তে বসার আগে বোতলটা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম। মনে হয় আরও দু-তিনবার ঝাঁকুনি দিয়ে ধুয়ে নিতে হতো। তখন আমার মন বলল, আচ্ছা যাকগে, সে বড় কথা নয়, বড় কথা হলো, এখন আমার কী হবে? আমি কি মারা যাব? নাকি আমার কঠিন অসুখ হবে? পরক্ষণে, তার চেয়ে বড় কথা হলো এটা তো কিআতে লিখতে হবে।

রানা যারিন তাসনিম

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, পিলখানা, ঢাকা

আরও পড়ুন

আমার বই পড়া

বইয়ের যে নিজস্ব জগৎ আছে, এ কথা সবাই জানে। কিন্তু এই জগৎকে নিজে অনুভব করার অভিজ্ঞতাটা একেবারে অন্য রকম। একটা নতুন বই থাকে অচেনা। সেই অচেনা বইকে হাতে নিয়ে পড়তে পড়তে আপন করার যাত্রাটা কী যে ভালো লাগার! অনেকে বলে, তারা বই পড়তে পড়তে সেখানকার পছন্দের জায়গাগুলো দাগিয়ে রাখে। এভাবে বইটা তাদের চেনা হয়। আমার ক্ষেত্রে কেন যেন এটা কাজ করে না। বরং বইয়ে দাগালে মনে হয়, বইটা আর সব বইয়ের মতো সাধারণ হয়ে যায়। আমি যখন নতুন কোনো বই পড়ে শেষ করি, তখন আপনাআপনি বইটা যেন আমার আপন হয়ে যায়। আমি আবার পছন্দের জায়গাগুলোয় চোখ বুলাই। তখন প্রতিটা পৃষ্ঠা, শব্দ, সেখানকার কথাগুলো আমার একেবারেই চেনা। প্রথমবার বইটাকে ধরা আর তখনকার ধরা অন্য রকম। ঠিক নতুন বন্ধুর সঙ্গে ক্লাসের শুরুর দিনগুলো আর তারই সঙ্গে স্কুলজীবনের শেষ ক্লাস করে বের হওয়ার মতো। পড়ে ফেলা বইটার দিকে তাকালেই মনে পড়ে, এটা পড়ার সময়ের উত্তেজনা আর ভালো লাগাগুলো। এই অনুভূতি আমার সবচেয়ে প্রিয়।

সামিহা ওয়াজদিয়া

এসএসসি ২০২৪, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা