একজন যাত্রী এয়ারপোর্টে তাঁর প্লেনের জন্য বসে আছেন। তাঁর হাতে একটা বই। তিনি মন দিয়ে বই পড়ছেন। তাঁর ডান পাশে একটা খোলা হাতব্যাগ। তাতে একটা বিস্কুটের প্যাকেট। একটু পরে আরেকজন যাত্রী এসে ব্যাগটার পাশে বসলেন। প্রথমজন মন দিয়ে বই পড়ছেন।
একটু পরে এই বই-পাঠক যাত্রীর মনে হলো, দ্বিতীয়জন বিস্কুট খাচ্ছেন। মুচমুচ শব্দ হচ্ছে। ‘লোকটা আমার ব্যাগ থেকে বিস্কুট বের করে খাচ্ছে। কী রকম খারাপ।’ প্রথমজন বই থেকে চোখ তুলে দ্বিতীয়জনের দিকে কটমট করে তাকালেন। তাঁকে তাকাতে দেখে দ্বিতীয়জন বললেন, ‘আপনি কি একটা বিস্কুট খাবেন?’
‘না।’ রেগে বললেন প্রথমজন। ‘আমার বিস্কুট খাচ্ছে, আবার আমাকেই সাধছে। কী রকম বাজে একটা লোক।’
প্লেনে ওঠার ডাক এল। প্রথম যাত্রী তাঁর জিনিসপত্র গুছিয়ে প্লেনে উঠে বসলেন। নিজের হাতব্যাগটা রাখতে গিয়ে বুঝলেন, তাঁর নিজের বিস্কুটের প্যাকেট আস্তই রয়ে গেছে। ওই লোকটা নিজের প্যাকেটের বিস্কুটই খাচ্ছিল।
উপদেশ: আমারও ভুল হতে পারে। অন্যের দোষ ধরার আগে ভালোমতো যাচাই করা উচিত।
এ গল্পটা আমি পেয়েছি ইন্টারনেটে। তোমাদের জন্য অনুবাদ করে দিলাম।
ওহো। এইটা তো আবার ভূতসংখ্যা।
তাহলে এ গল্পটাকে ভূতের গল্প, কমপক্ষে রহস্য গল্প বানাই। প্রথম যাত্রী তাঁর প্যাকেট ছিঁড়ে বিস্কুট খেয়ে ফেললেন। একটু পরে তাকিয়ে দেখলেন আরেকটা প্যাকেট। এটা কোত্থেকে এল! তার বিস্কুটের প্যাকেট তো ছিল একটা। তিনি সেটাও খেলেন। একটু পরে ব্যাগে হাত দিয়ে দেখলেন আরও একটা প্যাকেট।