ফ্ল্যাট নম্বর জি নাইন

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

নাজিমরা নতুন বাসায় এসেছে এক সপ্তাহ হলো। বিল্ডিংয়ের ‘জি এইট’-এ তাদের ফ্ল্যাট। বিল্ডিংটা বেশ পুরোনো, ২০০০ সালের আগে তৈরি। ওদের ওপরের তলায়, অর্থাৎ ‘জি নাইন’-এ কে থাকে, তখনো জানতে পারেনি ওরা। সমস্যাটা শুরু হলো কদিন পর। সারা দিন ওপরের তলায় কোনো শব্দ হয় না, কিন্তু রাতে যখন নাজিমরা সবাই ঘুমাতে যায়, তখন শোনা যায় বিচিত্র সব শব্দ। শুনে মনে হয়, ভারী আসবাব সরানো হচ্ছে। কখনো চেয়ার, কখনো অন্য কিছু।

শুরুতে ব্যাপারটাকে পাত্তা দেয়নি নাজিমরা। ওদের বাসায় শিশু বা বৃদ্ধ কেউ নেই। শব্দে তেমন কোনো সমস্যাও হতো না। কিন্তু শব্দগুলো হতে থাকল দিনের পর দিন। স্বভাবতই নাজিমরা একটু বিরক্ত হলো। ওর মা ওপরের তলায় ‘যাব যাব’ করেও যাওয়া হয়ে উঠছিল না। মাস দুয়েক পর ওর মা যখন ওপরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, সেদিন রাতে আর কোনো শব্দ হলো না। পরদিন সকালবেলা নাজিমের মা ওপরে গিয়ে দেখেন যে রংমিস্ত্রি কাজ করছেন। ম্যানেজারকে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ভাড়াটে চলে গেছে?’ ম্যানেজার বললেন, ‘কী বলেন আপা! ভাড়াটে যাবে কেন? সাত-আট মাস ধরে তো বাসাটা ফাঁকাই পড়ে ছিল। ভাড়াটে উঠবে বলে মালিক রং করাচ্ছেন।’

তাহলে এত দিন নাজিমরা কিসের শব্দ শুনে এসেছে?

লেখক: শিক্ষার্থী, বিসিএসআইআর উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা

আরও পড়ুন