‘মনে রবে কি না রবে আমারে, সে আমার মনে নাই।
ক্ষণে ক্ষণে আসি তব দুয়ারে, অকারণে গান গাই।’
এভাবেই আমার মনে তুমি থেকে যাবে মা। হয়তো একটু দূরে আছো আজ। তাতে কী! তোমার সঙ্গে তো আমার প্রতিদিন কথা হয়। চাইলেই দেখা করতে যেতে পারি তোমার কাছে।
বলছিলাম আমার শিক্ষক, আমার মা সুমিতা চক্রবর্তীর কথা।
তুমি যে আমার সবকিছু। আমার আশা-ভরসা সব। কোনো বিপদে পড়লে সবার আগে তোমার কথাই মনে আসে। যখন খুব রাগ হয়, খুব কষ্ট—তখন তোমাকে ফোন না দিতে পারলেও তোমার ছবির সঙ্গে কথা বলি। তখন সত্যি খুব হালকা লাগে। মনে হয়, আমার কাছে না থাকলেও আমার মাথায় তুমি হাত বুলিয়ে দিচ্ছ। যখন মনে হয় আমি আর পারব না, পারছি না; তখন তোমার কথা ভাবি। মনে হয়, তুমি তো আছো! আমার চিন্তা কি! যখন কোনো ভালো কিছু করি, তখন খুব আনন্দ হয়। কারণ, এটা না যে আমি ভালো কিছু করেছি, মনে হয় তোমাকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারছি।
বড় হয়ে কী হব, জানি না। হয়তো তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে ডাক্তারই হব। কিন্তু যা-ই হই না কেন, ভালো মানুষ হতে চাই। যেন তুমি বলতে পারো, তোমার গীতিময় একজন সত্যিকার অর্থে মানুষ।
তোমাকে আমি কথা দিলাম, জীবনে খুব বড় কিছু হব, যেন আমাকে নিয়ে তুমি গর্ব করতে পারো। কোনো পরিস্থিতিতেই ভয়ে মাথা নত করব না। কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করব না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ভয় পাব না—এই প্রতিজ্ঞা করলাম।
তোমার জন্মদিনের উপহারস্বরূপ এই চিঠি লিখলাম।
জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এ রকমই সৎ, কর্মঠ আর স্পষ্টভাষী থেকো, এই কামনাই করি।
আমাকে এভাবেই সব সময় আগলে রেখো। আমাকে ছেড়ে কখনো চলে যেয়ো না। তোমাকে ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ।
আমাকে কখনো অবিশ্বাস কোরো না, ভুল বোঝো না। আমি এমন কিছু করব না, যাতে তোমার বিশ্বাস, ভরসা, আস্থা ভাঙে।
এভাবেই তোমার গীতিময়কে ভালোবেসে যেয়ো।
ইতি
তোমার অবুঝ
গীতিময়
গীতিময় শ্রেয়সী
অষ্টম শ্রেণি, কল্যাণপুর গার্লস স্কুল ও কলেজ, ঢাকা