অড সিগনেচারের নতুন অ্যালবামের সঙ্গে পাওয়া যাবে কমিকস

গানে গানে অড সিগনেচার কেবল কার্নিভ্যালই জমিয়ে তোলেনি, করেছে নানা অনুভূতির ব্যবচ্ছেদওছবি: আব্দুল ইলা
কিশোর আলোর দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২২ অক্টোবর রাজধানীর তেজগাঁওয়ের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী ‘নগদ কিআ কার্নিভ্যাল ২০২৩’। জনপ্রিয় মডেল, অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের পদচারণে আয়োজিত হয়েছে জমজমাট এক কার্নিভ্যাল। কার্নিভ্যালে গেয়ে মঞ্চ মাতিয়ে তুলেছিল জনপ্রিয় ব্যান্ড অড সিগনেচার। কী করেছিল তাঁরা?

একজন বাবা জানালেন, তাঁর সন্তান রীতিমতো দুঃসময় পার করছে। স্কুলের পরীক্ষার ফল ভালো হচ্ছে না। ক্রমাগত ব্যর্থতায় চিড় ধরেছে আত্মবিশ্বাসে। এমনকি প্রশ্ন করতে শুরু করেছে নিজের যোগ্যতা নিয়েও। তিনি এসব মানতে রাজি নন। মন ভালোর জন্য ওকে নিয়ে এসেছেন কিআ কার্নিভ্যালে। মেয়েকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন সাহানা বাজপেয়ীর সেই কথা, ‘আকাঙ্ক্ষা আর হতাশায় হারিয়ে যাওয়ার কোনো মানে নেই।’ এমন সময় মঞ্চ থেকে ভেসে এল ঘুরে দাঁড়ানোর গান—

‘তুমি পারো রঙিন এক দৃশ্যতে

রং মাখা তুলি ছুঁয়ে হাসি ফোটাতে,

তুমি পারো রংধনুর রং ছুঁয়ে

এঁকে শত ছবি এক হাতে একসাথে’

নগদ কিআ কার্নিভ্যালের মূল মঞ্চে তখন গাইছে ব্যান্ড অড সিগনেচার। পরিবেশন করছে ‘তুমিও পারবে’, ‘ঘুম’, ‘প্রস্তাব’, ‘আমার দেহখান’–এর মতো শ্রোতানন্দিত সব গান। কিশোর-কিশোরীরা প্রিয় ব্যান্ডকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত। প্রতিটি গানই তারা মুখস্থ করে বসে আছে। বয়সে বড়রাও দলছুট নন। সবাই মিলে গাওয়ার উৎসবে শামিল তাঁরাও।

কিআ সম্পাদক আনিসুল হক তাঁদেরই একজন। অড সিগনেচারকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানোর সময় মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন। বললেন, ‘ওদের গানের কথা ভালো। সুর ভালো। বিশেষ করে “ঘুম” গানটা তো আমার খুবই পছন্দের।’ ব্যান্ডের ভোকাল মুনতাসির রাকিব তো এ কথা শুনে ভীষণ আনন্দিত। কারণ, তাঁর মা আনিসুল হকের লেখার অনুরাগী। সন্তানের গানের প্রশংসা করেছেন প্রিয় লেখক; মা যে তাই গর্বিত হবেন, সে কথা তো সহজেই অনুমেয়। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ব্যান্ডের অন্য সদস্যরাও।

তাঁরা ভাবেননি কৈশোরে পা রাখা এত ছেলেমেয়ে তাঁদের ভক্ত। নানান কথার ফাঁকে একটা–দুটো গোপন কথাও তাই জানিয়ে দিলেন। তাঁদের প্রকাশিতব্য অ্যালবামের সঙ্গে পাওয়া যাবে কমিকস। এসব দৃশ্যের সাক্ষী হচ্ছে সরদার আকিব লতিফও। কিআর এই লেখক ও স্বেচ্ছাসেবক পড়াশোনার জন্য এখন জাপানে অবস্থান করছে। বন্ধুদের দেওয়া ভিডিও কলের কল্যাণে সূর্যোদয়ের দেশ থেকে যুক্ত হলো অনায়সে। তার চোখে জল।

আপ্লুত কণ্ঠ শোনা গেল কিআর আরেক স্বেচ্ছাসেবী মানসুরা মুবাশ্বিরার গলাতেও। তাঁর ভাইও পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে। আর অড সিগনেচারের গান ‘ঘুম’ মূলত ভাই-বোনের স্নেহ, ভালোবাসারই গল্প। এভাবে গানে গানে অড সিগনেচার কেবল কার্নিভ্যালই জমিয়ে তোলেনি, করেছে নানা অনুভূতির ব্যবচ্ছেদও।

কার্নিভ্যালে লেখক দল : আমাতুননূর বুশরা, মৃণাল সাহা, মোহাম্মাদ উল্লাহ জাফরী, সামিহা হায়দার ও আহমাদ মুদ্দাসসের