বড় হয়ে গেছি
আজ আমি খুব খুশি। আমি যে আমি সত্যিই বড় হয়ে গেছি, সেটা বুঝতে পারছি আজ। অনেক বড়, যেমনটা আমি আমার শৈশবে হতে চেয়েছিলাম। আগে ভুল করলে সবাই বলত ‘ছোট্ট মানুষ’। আর এখন তারাই বলে, ‘তুমি কি এখনো ছোট?’
আগে বড় বোনের সঙ্গে টিভির রিমোট নিয়ে ঝগড়া করতাম। আজ সেই রিমোটে ধুলা জমেছে। টিভি রুমের এককোণে পড়ে আছে রিমোট। আগে একা স্কুলে যেতে চাইলে যারা বাধা দিত, স্কুলের পথে আজ তাদের সঙ্গ কল্পনাও করা যায় না। টিফিনের টাকা জমিয়ে যে স্টিকার কিনতাম একসময়, সেগুলো এখন দেখতেও ভালো লাগে না। যারা একদিন আমাকে ছোট বলে ক্ষমা করেছিল, আজ তারাই আমার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে আমি আর ছোট নেই।
আসলে আমারই দোষ। যেদিন আমি নতুন কলম হাতে পেয়ে খুশিতে প্রিয় পেনসিলটাকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলাম, সেদিনই আমার বোঝা উচিত ছিল যে আমি আর ছোট নেই। আমি মূলত সেদিনই বড় হয়ে গিয়েছিলাম। আমার বোঝা উচিত ছিল যে পেনসিল দিয়ে করা ভুল মোছা গেলেও কলম দিয়ে করা ভুল মুছে ফেলা যায় না। কলম দিয়ে করা ভুল আমি হয়তো শুধরে নিতে পারব, কিন্তু তার চিহ্ন, দাগ বা স্মৃতি আজীবন সেই পৃষ্ঠায় থেকে যাবে। আজ কলম দিয়ে অনেক কাটাছেঁড়া করার পর আমি বুঝতে পেরেছি, আমি আর ছোট নই, আমি এখন বড় হয়ে গেছি। অনেক বড়।
মো. খাইরুল বাসার
অষ্টম শ্রেণি, মুকুল নিকেতন উচ্চবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ